চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সুনসান নীরবতা

প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ছুটে আসে লাখো পর্যটক। পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় জমায় সৈকতে। ঈদের টানা ছুটিতে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকতো সেই সমুদ্র সৈকত এখন সুনসান নীরবতা।

গেল বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সরকার লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দেয় সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পরে সংক্রমণ কমলে সরকার বিধি-নিষেধ শিথিল করে খুলে দেয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে গেল বছরের ঈদগুলোর মতো এবারও বন্ধ রয়েছে সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে ঈদের ছুটিতে নেই পর্যটকদের কোলাহল আর পদচারণা।

সৈকতের প্রবেশদ্বারে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের কড়া পাহারা। দেড়মাস ধরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবকিছু বন্ধ থাকায় পর্যটন সেক্টরের সাথে জড়িত দেড় লক্ষাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এবারের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়ার দাবি পর্যটন ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহও বলেন একথা।

করোনা কালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ব্যাংক লোন নিয়ে পুনরায় পর্যটন ব্যবসা শুরুর কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো লকডাউনের আওতায় পড়েছে। কর্মহীন পর্যটন কর্মীদের সহানুভুতির দৃষ্টিতে প্রণোদনা প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানান হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তার অংশ হিসাবে সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ সমুদ্র সৈকতে অনেক বেশি মানুষের সমাগম হয় এবং এতে করোনা সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হয়। সুতরাং করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ।

কখন, কবে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে সংক্রমণ কমলে সরকার পর্যটন স্পটগুলো খুলে দিবে এমন প্রত্যাশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।