চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কক্সবাজার ও ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত

ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে এবং কক্সবাজারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যদের সঙ্গে পৃথক কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ও সোমবার ভোরে ঘটনাগুলো ঘটেছে। 

ময়মনসিংহ শহরের বাদেকল্পা এলাকায় রোববার রাত সোয়া ১টার দিকে ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খলিল (৩৭) নামের আন্তঃজেলা অটোচোর চক্রের সক্রিয় সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক এসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকচালা এলাকায় বসবাস করতেন।

পুলিশ জানায়, আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্যরা চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচা করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে চোরচক্রের সদস্যরা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে চোরচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খলিলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়। পরে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহত অটোচোর খলিলের বিরুদ্ধে ৮টি অটোরিকশা চুরি মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি চোরাই অটোরিকশা এবং একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার ভোরে কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাতারবাড়ির চাইরার ডেইল এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুরুল কাদের রানা (৩৪) নামে এক দস্যু নিহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ ৭টি অস্ত্র ও ৬৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান বলেন, ভোরের দিকে কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাতারবাড়ির চাইরার ডেইল এলাকায় র‌্যাব-৭ এর টহল দলের সঙ্গে দস্যুদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দস্যু নুরুল কাদের রানার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা মো. মাশকুর রহমান জানান, নুরুল কাদের রানা বঙ্গোপসাগর এলাকার একজন ‘কুখ্যাত’ দস্যু।

গত ২৬ আগস্ট নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার এমভি মা বাবার দোয়া ও এমভি মাহিনে ডাকাতির মূলহোতা তিনি।