কক্সবাজারে মঞ্জুর ইসলাম ওরফে মঞ্জুর শেখ (৫৮) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে । অতিরিক্ত মারধরের কারণে মঞ্জুর শেখের মৃ্ত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটি ।
রোববার রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্যবসায়িক প্রয়োজনে টেকনাফ থেকে কাজ সেরে ২৯ জুলাই রাতে কক্সবাজার ফেরার পথে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে গাড়ী তল্লাসী করার সময় তাকে ডিবি পরিচয়ে আটক করা হয়। পরিবারের দাবি, ব্যাপক মারধর করে ছেড়ে দেয়ার শর্তে ৫ লাখ টাকা দাবি করে আটককারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
৩১ জুলাই রাতে মঞ্জর শেখ গুরুতর অসুস্থ, তাকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়।
অতিরিক্ত মারধরের কারণে মঞ্জুর শেখের হাত ও পায়ে মারাত্মক আঘাত পায়। হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ না হলেও তাকে কারাগারে নিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় ৬ আগস্ট তাকে আবারো হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে এস আই মো.মাহবুবুল আলমের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ছেড়ে দেয়ার কথা বলে কোন ধরণের আর্থিক লেনদেনও করা হয়নি। জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান,তার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জে ৪ টি ও টেকনাফে ১ টি মামলা রয়েছে। সে একজন পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মঞ্জর শেখের মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবার থেকে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানানো হয়।
মঞ্জুর শেখ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজীখান মালখানগর এলাকার মৃত শেখ বাদশা মিয়ার পুত্র। তিনি ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য বলে জানা যায়।