কক্সবাজারের চকরিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে।
এরমধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের মইক্কাঘোনা পাহাড়ী এলাকায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মোহাম্মদ ইউনুছ (৪০) নিহত হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় টেকনাফের হোয়াইক্যং চাকমারকূল ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীর দা’য়ের কোপে স্বামী মো. ছৈয়দুর রহমান (৩২) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী সানজিদা বেগম (২৩)কে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ শাহেদ জানান, দিল মোহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ ইউনুছের সাথে একই এলাকার নুরনব্বী ও জকিরসহ আরও কয়েকজন মোবাইল ফোনে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে মোহাম্মদ ইউনুছ ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দ্বায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, চাকমারকূল ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের ছৈয়দুর রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী সানজিদা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। শুক্রবার বিকালে ছৈয়দুর রহমান নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে স্ত্রী সানজিদা বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার শোর-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সানজিদা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে এপিবিএন এর কাছে সোপর্দ করে। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ২ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।