ম্যাচের আগের দিন আফিফ হোসেন ধ্রুব বলছিলেন ডেভিড ওয়ার্নারের কাছ থেকে শিখতে চান কিছু জিনিস। কাকতালীয়ভাবে বুধবার ব্যাটিংয়ে নেমে আফিফ সঙ্গী হিসেবে পেলেন ওয়ার্নারকেই। দলের অধিনায়ক ও বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের একজনকে ক্রিজে পেয়ে আত্মবিশ্বাসে বাড়তি রসদ পেয়েছেন ১৯ বছরের তরুণ অলরাউন্ডার।
শেখার বাসনাও কিছুটা পূরণ হয়েছে আফিফের। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের কাছে ছোট ছোট টিপস পেয়েছেন। যা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে আফিফ খেলেছেন ২৮ বলে ৪৫ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস।
লিটন, নাসির, সাব্বির; একে একে ধরলেন প্যাভিলিয়নের পথ। ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা তখন সিলেট সিক্সার্স। দলকে কক্ষপথে আনেন আফিফ। ওয়ার্নারের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে বদলে দেয় দৃশ্যপট। সিক্সার্স অধিনায়ক ওয়ার্নার ৪৭ বলে ৫৯ ও নিকোলাস পুরানের ৩২ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংসে শেষঅবধি ১৬৮ রানের লড়াকু পুঁজিই পেয়ে যায় সিলেট। শেষদিকে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে ৫ রানে জিতেছে ওয়ার্নারের দল।
ম্যাচ শেষে আফিফই আসলেন সংবাদ সম্মেলনে। জানালেন কেমন ছিল ওয়ার্নারের সঙ্গে তার রসায়ন, ‘ওয়ার্নারের সাথে যখন ব্যাটিংয়ে ছিলাম, অবশ্যই জিনিসটা খুব ভালো লাগার ছিল। এতবড় একজন ব্যাটসম্যান, তার সাথে ব্যাটিং করছি, এই জিনিসটা আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আর, কিছু টিপস টাইপ দিচ্ছিল যেগুলো ব্যাটিংয়ের সময় কাজে লেগেছে।’
আফিফের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। সবগুলো বাউন্ডারি ছিল দৃষ্টিনন্দন। কাভার ড্রাইভে ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। আফিফ ও ওয়ার্নার ক্রিজে কাটান ৭.৫ ওভার। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে ৭১ রান তুলে বিপর্যয় যেমন সামাল দেন, তেমনি ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান দলকে।
হেরে যাওয়া দল চট্টগ্রামের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও প্রশংসা করে গেলেন আফিফের ইনিংসটির। মুশফিক মনে করেন মিরপুরের উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন হলেও স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে পারলে রান করা সম্ভব।
‘আফিফ দারুণ ইনিংস খেলেছে, তাতে ওদের চাপ কিছুটা কমেছে। যদি আফিফ স্ট্রাগল করত, তাহলে ওয়ার্নারকে অবশ্যই চান্স নিতে হত। এখানে (মিরপুর) বুদ্ধি দিয়ে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে পারবে তারাই রান করতে পারবে।’