চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে’

এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পাশাপাশি আইনি সহযোগিতাও দেয়া দরকার বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম।

বৃহস্পতিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বেসরকারী খাতের সম্ভবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আবুল কাসেম বলেন, জ্বালানি সংকট এবং এর উচ্চমূল্য, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অবকাঠমোগত সমস্যা, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি, আইনগত জটিলতা এবং ঋণ প্রাপ্তিতে জটিলতাসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে বেসরকারি খাত। এসব সমস্যা সমাধানে নীতিমালা প্রণয়ন করে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের বাড়তি প্রায় ৯২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। তা বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।

ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আয়োজিত এ সভায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)’র সভাপতি ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির এবং দি চট্রগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই)’র সভাপতি মাহবুবুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান সরকার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় প্রায় ১ লাখ একরের ‘ভূমি ব্যাংক’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যা বেজার নিকট হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে দেশের বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ সকরে তিনি বলেন, এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতোমধ্যে সরকার মন্ত্রণালয় ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি তা যথাসময়ে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছে। এ লক্ষ্যে অর্থ সংস্থান নিশ্চিতের জন্য সরকার আন্তরিক ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি দেশের মানুষ বিশেষ করে যুবসমাজের দক্ষতা উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ কাজে বেসরকারী খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দেশের বেসরকারী খাতকে সরকার নির্ধারিত অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান। অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহে স্থাপিত শিল্প-কারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির, চট্রগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও আইসিসি বাংলাদেশ’র সভাপতি মাহবুবুর রহমান, পরিচালক ইমরান আহমেদ, খন্দ. রাশেদুল আহসান, মো. আলাউদ্দিন মালিক, ইঞ্জি. মো. আল আমিন প্রমুখ।