বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
তিনি বলেন, মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলসের (এমডিজি) মতো এসডিজিও যথাসময়ে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনের প্লিনারী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
বাংলাদেশ প্লানিং কমিশনের জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট তিন দিনব্যাপি এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এসডিজি অর্জনের টার্গেট বাস্তবায়নে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে পরিকল্পিত ও সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, যথাসময়ে এমডিজি অর্জন করায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে পুরষ্কৃত করেছে। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য ১৭টি গোলস, ১৬৯টি টার্গেট এবং ২৪১টি ইন্ডিকেটর নির্ধারণ করে দেয়।
বাংলাদেশ ২০১৫ সালে এসডিজি অর্জনে কাজ শুরু করে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম মেয়াদের কাজ এ বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মধ্য মেয়াদের কাজ এবং ২০২০ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদের কাজ চলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩২তম অর্থনৈতিক শক্তি। এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২৮তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে।
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২টি লক্ষ্য নির্ধারণ করে সংগ্রাম করেছিলেন। একটি বাঙালি জাতির মুক্তি অর্থাৎ দেশের স্বাধীনতা, অপরটি অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা।”
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। আজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা বিনির্মাণে কঠোরভাবে কাজ করছেন, সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের হার ২৪ দশমিক ৮ ভাগে এবং হতদরিদ্র মানুষের হার ১১ দশমিক ৯ ভাগে নেমে এসেছে। এসডিজি অর্জনের মধ্য দিয়ে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান ও প্লানিং কমিশনের জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশনের সিনিয়র সচিব ড. সামছুল আলম।