এশিয়ার দেশগুলোতে মার্চের শেষ দিক থেকে তাপমাত্রা বাড়ছে খুব দ্রুত। অন্তত ৭টি দেশে বছরের সর্বোচ্চ মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তান রয়েছে সবার ওপরে।
পাকিস্তানে আজ পর্যন্ত কখনো এত দ্রুত এত বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়নি। দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা উষ্ণতায় সবচেয়ে বেশি সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচি ভুগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, করাচিতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি তাপমাত্রা বাড়লেও সবচেয়ে বেশি গরম আবহাওয়ার কবলে পড়ল সিন্ধুর উত্তর-পূর্বাঞ্চল। সিন্ধুর নওয়াবশাহ শহরে গত ৩০ মার্চ তাপমাত্রা বেড়ে গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই সাড়ে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকেছে।
পরদিন সিন্ধুর মোহেনজোদারোও একই তাপমাত্রায় পৌঁছালো। ২০১০ সালের মে মাসে এই মোহেনজোদারোতেই ছিল পাকিস্তানের এ যাবতকালের সর্বোচ্চ উষ্ণতা, সাড়ে ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বায়ুপ্রবাহ দিক বদলে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে আসা শুরু হলে উত্তর ভারতেও উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তে থাকে। গত সপ্তাহে দিল্লিতে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রির কিছু ওপরে, যা এ বছর চলতি মৌসুমে শহরটিতে সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আবহাওয়াবিদরা।
২০১০ সালের ৪২.৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ডকে পেছনে ফেলে ইরাকে ২৯ মার্চে রেকর্ড হয়েছে ৪৩.৭৮ ডিগ্রি।
২৯ থেকে ৩১ মার্চে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা প্রথম দেশগুলো অবস্থা এমন:
পাকিস্তান: ৪৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২০১০ সালে ৫৩.৫ ডিগ্রি)
ইরাক: ৪৩.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২০১০ সালে ৪২.৩৯ ডিগ্রি)
কাতার: ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৯৯৮ সালে ৩৯ ডিগ্রি)
তুর্কমেনিস্তান: ৪০.২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২০১০ সালে ৩৯.১১ ডিগ্রি)
উজবেকিস্তান: ৩৭.২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২০০০ সালে ৩৬.৩৯ ডিগ্রি)
তাজিকিস্তান: ৩৫.২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৯৭১ সালে ৩৩.৩৩ ডিগ্রি)
আগামী কয়েক মাস এশিয়ার এই দেশগুলো এবং আশপাশের অঞ্চল পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ভূ-তাত্ত্বিক ও আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থাগুলো।