ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়ে হার যেন ‘নিয়তি’ হয়ে বারবার ফিরে আসছিল সামনে। অনেক প্রতীক্ষার পর খুলল ভাগ্যের দ্বার। টি-টুয়েন্টিতে নবম দেখায় এলো প্রথম জয়, তাও কিনা ভারতের মাটিতে। দিল্লির দর্শকরা তো বটেই, টেলিভিশন কিংবা মোবাইলে চোখ রাখা কোটি ক্রিকেটভক্ত ধরেই নিয়েছিলেন বাংলাদেশের উদযাপন হবে বাঁধনহারা।
সবাইকে অবাক করে ম্যাচ জেতানোর নায়ক মুশফিকুর রহিম আর জয়ের ক্যানভাসে চার মেরে শেষ আঁচর দেয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকলেন শান্ত। দুজন বুকে বুক মিলিয়ে তাকালেন আকাশপানে। একদমই সাদামাটা উদযাপনে ছাড়লেন মাঠ। ডাগআউট থেকেও সতীর্থরা কেউ দৌড়ে এলেন না। রীতি অনুযায়ী প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়াল ও নিজেদের মধ্যে হ্যান্ডশেক করে ঢুকে পড়লেন ড্রেসিংরুমে।
জিতলে উদযাপন হবে না, এমনটা যে দলীয় পরিকল্পনারই অংশ সেটি বুঝতেও কারও কষ্ট হওয়ার কথা নয়। বেঙ্গালুরুতে ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েই উদযাপন সেরে ফেলেছিলেন মুশফিক। পরে ৩ বলে ২ রানের সহজ সমীকরণ মেলাতে না পেরে হারের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে। ভাগ্যের কী খেয়াল, তখন যারা ভিলেন হয়ে উঠেছিলেন সেই দুজনই ক্রিজে থেকে শেষ পর্যন্ত লড়ে বিজয়ের হাসি এনে দিলেন বাংলাদেশকে।
মুশফিক ৪৩ বলে ৬০ আর মাহমুদউল্লাহ ৭ বলে ১৫ রানে থাকলেন অপরাজিত। তাতে ৩ বল আগেই চলে এলো ৭ উইকেটের দারুণ জয়। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোর গৌরব নিয়েই সোমবার নাগপুর যাবে বাংলাদেশ। এবার টাইগারদের চোখ সিরিজ জয়ে।