ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে হেড কোচ ছাড়াই মাঠে নামবেন মাশরাফী-সাকিবরা, সেটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী হিসেবে থাকবেন খালেদ মাহমুদ সুজন। আর মূল দায়িত্বটা থাকবে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, টেস্ট ও টি-টুয়েন্টির অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাঁধে!
নতুন বছরের প্রথমদিন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ব্যক্তিগত কার্যালয় ধানমন্ডির বেক্সিমকো অফিসে ডেকেছিলেন মাশরাফী ও সাকিবকে। দুই অধিনায়কের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি আসন্ন ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছেন দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার প্রধান।
বোর্ড সভাপতি পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচ প্রসঙ্গ বললেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, এবার কোচ হচ্ছে সাকিব ও মাশরাফী। ওদের উপরই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। সিনিয়র খেলোয়াড় যারা আছে, তাদের উপরই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ওরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। এরআগেও আমরা বসেছিলাম। তামিম, সাকিব, মাশরাফী, মুশফিকও ছিল। ওরা বেশ আত্মবিশ্বাসী যে, এই সিরিজটা নিজেরাই সামলাতে পারবে। কাজেই ধরে নেন, এবার খেলোয়াড়রাই কোচ।’
আসন্ন সিরিজে টাইগার দল যে কোচ পাচ্ছে না সেটি আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বোর্ড প্রধান আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন সেটি, ‘এই সিরিজে বাইরে থেকে কোন কোচ আসছে না। সেটা আমরা মোটামুটি ঠিক করেই রেখেছিলাম। এখন আমাদের যারা আছে তাদের দিয়েই চলবে। শুধু এই সিরিজটাই। তারপরে অবশ্যই বাইরে থেকে কোচ নিয়ে আসবো।’
আসন্ন সিরিজে খালেদ মাহমুদের ভূমিকা কী হবে সেটিও স্পষ্ট করেছেন নাজমুল হাসান, ‘বোর্ড থেকে একজন প্রতিনিধি থাকে। বর্তমান সাপোর্টস্টাফ যারা আছে, তারাই থাকছে। পাশাপাশি বোর্ড থেকে খালেদ মাহমুদ সুজন থাকবে। সে সবসময় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত, সংযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করত, খেলোয়াড়-কোচ-বোর্ডের মাঝে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করত, সে-ই থাকছে। তাকে একটা পদ দিয়ে রাখা হচ্ছে।’