দেশের উত্তরাঞ্চলের নদী কিংবা দক্ষিণে নাফ নদীর তীরে তীরে কাশফুলে শরৎ হাসলেও, দেশের বন্যার্ত মানুষ এবং দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মুখে কেবলই দুর্গতির কালো ছায়া। এই মানবিক সংকটের মুহূর্তে মর্তে আসছেন দুর্গতিনাশিনী। তাই এবারের দুর্গোৎসবকে ঠিক উৎসব হিসেবে দেখছেন না ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে আগুনে পোড়া অসংখ্য মানুষের জ্বালা দূর করা চিকিৎসক সামন্তলাল সেন।
মঙ্গলবার ভোরে মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে দেবী দুর্গার আগমনপালা। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ধর্মীয় আচার পালন করতে আসেন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত এই চিকিৎসক।
পূজা-অর্চনা শেষে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, “প্রথম কথা হচ্ছে আমি একজন হিন্দু। সুতরাং আমি পূজা-পার্বণ নিয়েই থাকি। পূজা না করে সাধারণত বাসা থেকে বের হই না। আমার কাছে এবারের একটু ব্যতিক্রম আমার কাছে।”
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবারের পূজায় নিজের ভাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “পূজার আনুষ্ঠানিকতায় আমি বিশ্বাস করি। সকালবেলা আমরা আসি,পূজা করি, অঞ্জলি দিই। কিন্তু এরপরের যে উৎসবটা, এটা বোধহয় এবছর সংকুচিত করার কথা বিবেচনা করা উচিৎ। দেশের বন্যার্ত মানুষ এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের যে কষ্ট তা অনুধাবন করে উৎসব পরিধি-খরচ কমিয়ে তাদেরকে সাহায্য করা উচিৎ বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।”
এবার দুর্গাপূজায় অতিরিক্ত আলোকসজ্জা,বাড়তি বাজনায় অর্থ ব্যয়ের বদলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্গত মানুষ এবং আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত অসুরের ভয়ে পালানো মানুষের জন্যই উৎসব উৎসর্গ হোক এই কামনা করেন সামন্তলাল।