মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে হিলারির ই-মেইল ইস্যুতে এফবিআই’র নতুন করে তদন্ত শুরুর কাজকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলেছেন ডেমোক্রেটিক দলের নেতারা। আর এফবিআই’র পদক্ষেপকে অযৌক্তিক ও বিধিবহির্ভূত বলছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
কারচুপির মাধ্যমে বিচার বিভাগ হিলারিকে রক্ষা করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। তবে দুই প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর বক্তব্যকে ছাপিয়ে এবার আলোচনায় যুক্ত হলেন এফবিআই প্রধান জেমস কমি।
এফবিআই’র নতুন করে শুরু করা তদন্তকে অযৌক্তিক ও বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে বিচার বিভাগ বলছে, নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে কোনো প্রার্থী সম্পর্কে এমন অযাচিত অভিযোগের আইনগত বৈধতা নেই।
তবে এফবিআই প্রধান দাবি করছেন, নৈতিকতা বোধ থেকেই নতুন এই তদন্তের বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে তিনি ভুল পথে পরিচালিত করতে চান না বলে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই।
বিচার বিভাগ হিলারি ক্লিনটনের অপরাধ কর্মকান্ড আড়াল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। হিলারিকে ‘ক্রিমিনাল’ বলে তার বিরুদ্ধে ভোট দিতে ভোটারদের আহ্বান জানান ট্রাম্প।
এফবিআই’র এই পদক্ষেপকে নজিরবিহীন এবং গভীর উদ্বেগজনক বলে সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি। সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোটাররা এ বিষয়ে পূর্ণ ও চূড়ান্ত তথ্য জানার অধিকার রাখে।
এদিকে এফবিআই’র নতুন করে এই তদন্ত শুরুর পরেও বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোস এর জরিপ অনুযায়ী,গত দুই সপ্তাহে আগাম ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে ১৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি।
রিপাবলিকান শক্ত ঘাঁটি টেক্সাস ও জর্জিয়ায়ও আগাম ভোটে সামান্য ব্যবধানে হিলারির চেয়ে পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প। এছাড়া ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য হিসেবে পরিচিত ওহাইও এবং অ্যারিজোনাতেও এগিয়ে আছেন হিলারি।