চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এটিএম মেশিন ব্যবহারে সাবধান!

বাসার কাছেই এটিএম বুথ। তাই প্রয়োজনে যখন তখন সেখান থেকে টুকু তুলে আনা যায়। ব্যাপারটা যথেষ্ট সুবিধাজনক। তবুও পরেরবার কোনো এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার আগে অন্তত দশবার ভেবে নেবেন।

কেননা যেই এটিএম মেশিনের চকচকে বোতামগুলোর ছোঁয়ায় দরকারি টাকা আপনি পেয়ে যাচ্ছেন, সেই বোতামগুলো থেকেই আপনার হাত হয়ে দেহে চলে আসতে পারে নানা ধরণের ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক থেকে শুরু করে যৌনবাহিত রোগের জীবাণু!

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি  থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমনই তথ্য জানানো হয়েছে।

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেন কার্লটন বলেন, “আমাদের গবেষণায় পাওয়া ফলাফল অনুসারে, এটিএমের কি-প্যাডে বিভিন্ন উৎস থেকে আসা জীবাণু থাকে। এর মধ্যে রয়েছে মানবদেহের ভেতরে থাকা অণুজীব, পচে যাওয়া খাবারে থাকা ব্যাক্টেরিয়া এবং যেসব জীবাণু বাতাস বা মাটির ওপরের পরিবেশে সহজে টিকে থাকতে পারে।

কার্লটনের গবেষণা দলটি ২০১৪ সালের জুন এবং জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন, কুইনস ও ব্রুকলিনের ৬৬টি এটিএম মেশিনের কি-প্যাড থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনাগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা থেকে দেখা যায়, সেখানে পাওয়া জীবাণুর বেশিরভাগই টেলিভিশন, টয়লেট, রান্নাঘর ও বালিশ থেকে এসেছে। কিছু আবার এসেছে পচা মাছ, শামুক ও মুরগি থেকে।atm2

দোকান এবং পাবলিক লন্ড্রিতে থাকা এটিএমের কি-প্যাডে জীবাণুর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সেগুলোর বেশিরভাগই পচা গাছপালা বা দুধের তৈরি খাবারে উৎপন্ন জীবাণু। এছাড়াও অন্যান্য কিছু নমুনায় কেক, বিস্কুটসহ নানা বেক করা খাবার নষ্ট হয়ে সৃষ্ট ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া গেছে।

তবে আরও পাওয়া গেছে মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর অন্ত্রে পাওয়া পরজীবীর সমগোত্রীয় আরেকটি পরজীবী ট্রাইকোমোনাস ভ্যাজিনালিস, যা হাত থেকে দেহে গিয়ে যৌনবাহিত রোগ বা এসটিডি’রও কারণ হতে পারে।

খোলা বা, বুথের ভেতর বন্ধ – এ দু’ধরণের এটিএম মেশিনের কি-প্যাডে পাওয়া জীবাণুর মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই বলেও জানিয়েছে ‘এমস্ফিয়ার’ নামক জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্র