প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: বিশ্বের যেসব দেশ এমডিজি সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। এখন আমাদের লক্ষ্য এসডিজি অর্জন করা। লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এসডিজির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে খাতগুলো রয়েছে সেগুলোতে সাফল্য অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন: আমাদের এ প্রকল্পগুলো একটা আরেকটার পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। এসব লক্ষ্য অর্জনে আমরা পথ প্রদর্শকের কাজ করি। সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব সেই লক্ষ্য অর্জনে দায়িত্বের সাথে কাজ করা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন: ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখনই বাংলাদেশের জনগণ বুঝেছিল আমরা জনগণের সেবক। এর ৮ বছর পর ২০০৯ সালে আবার আমরা সরকার গঠন করি। তারপর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা দ্রুততম সময়ে কীভাবে দেশের উন্নতি করা যায়। এরপর থেকে নিতে শুরু করি উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা।
‘২০০১ এ যখন ক্ষমতায় আসতে পারিনি তখন অর্জনগুলো কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে তা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তার যেন পুনরাবৃত্তি হতে না পারে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো। একেবারে উঁচু পর্যায় থেকে শেষ পর্যায় পর্যন্ত কাজ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করেছি আমরা। এ বিষয়ে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন: আমাদের রাজনীতির লক্ষ্য ক্ষমতায় বসে ক্ষমতা ভোগ করা নয়, দেশের মানুষের সেবা করা। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল তাদের আমরা উপযুক্ত জবাব দিতে পেরেছি। আমরা বলি, বাংলাদেশ পারে, পারবে। এজন্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
‘জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আর দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য। বন্দীশালায় বসে আমি রচনা করেছিলাম ক্ষমতায় গেলে আমাদের কী কী করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন: এমডিজি বাস্তবায়নে যেমন দক্ষতা দেখিয়েছি। এসডিজি অর্জনেও তেমন দক্ষতা দেখাতে পারব। একটি মানুষও অশিক্ষিত থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হবে না, ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না।’