ব্যাটসম্যানদের লড়াইয়ের পর আফ্রিকান বোলারদের দাপট। ইনিংসের শেষ ঘণ্টায় দারুণ বিপদে পড়ে ইংলিশরা। শেষ চার উইকেট গেছে ৬ রানে। প্রথম তিনজনের পর শেষ সাতজন তুলতে পারেন মাত্র ৬২! এমন দাপুটে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২০৫ রানে থামিয়ে দুই শতাধিক রানের লিড নিয়েছে সাউথ আফ্রিকা। সাজঘরে মাত্র একজন।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শনিবার ১৫টি উইকেটের পতন হয়েছে। যার ১০টিই ইংল্যান্ডের। তাতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ৭৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে প্রোটিয়ারা। প্রথম ইনিংসে ৩৩৫ রান তুলেছিল তারা।
প্রথম ইনিংস থেকেই যখন ১৩০ রানের লিড, শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ চাপমুক্তই থাকার কথা আফ্রিকানদের। হয়েছেও তাই। হেইনো কুন ৮ রানে ফিরে গেলেও অবিচ্ছিন্ন ৫৭ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত আছেন ডিন এলগার ৩৮ ও হাশিম আমলা ২৩ রানে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায়। দুই উদ্বোধনী অ্যালিস্টার কুক ৩ ও কিটন জেনিংস রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। পরে গ্যারি ব্যালান্স ২৭ রানে ফিরে গেলে আরো বিপদ বাড়ে।
অবশ্য ফেরার আগে রুটের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কাটা সামলে দিয়েছিলেন ব্যালান্স। জো রুট একপাশে আক্রমণাত্মক খেলেছেন। অধিনায়কের ব্যাটে এসেছে ৭৮ রান। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৫৭ রানের জুটির শেষ হয় তার আউটেই।
বেন স্টোকস (০) ও বেয়ারস্টো (৪৫) সাজঘরে ফিরলে পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ ৬ উইকেটে আসে মাত্র ৩৭ রানে।
প্রোটিয়াদের হয়ে কেশভ মহারাজ ও ক্রিস মরিস ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে নিয়েছেন মরনে মরকেল ও ভারনন ফিনল্যান্ডার।
সকালে ৬ উইকেটে ৩০৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা আফ্রিকানদের থামিয়ে দেয়ার পথে জেমস অ্যান্ডারসন পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৭২ রানে। ব্রড তিনটি। স্টোকস ফিরিয়েছেন দুইজনকে।