একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে সারাদেশেই সৃষ্টি হয়েছে অরাজকতা। কোনোটি বোর্ডের কারণে আবার কোনোটির কারণ কিছু শীর্ষ কলেজের একগুয়েমি। এসব কলেজ সরকারের নীতিমালার তোয়াক্কাই করছে না। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কলেজকে শিক্ষা বোর্ড কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেও কাজে আসেনি। আর বোর্ডের অন লাইন ত্রুটির কারণে কেঁদে-কেটে একাকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে ভালো ফলাফল করা অন্য স্কুলের ৪১ জন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেলেও আপাতত ভর্তি হতে পারছে না তারা।
অন্যদিকে গ্রেড পয়েন্টে কিছুটা পিছিয়ে থাকা ভিকারুননিসা স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান না পেলেও তারাও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
এই বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন বলেন, আমাদের কলেজে আসন সংকটসহ কিছু সমস্য আছে। আমাদের নিজেদেরই অনেক মেয়ে আছে যারা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে; কিন্তু তাদের নাম আসেনি। আমরা তাদেরকে নিবো। আমাদের কলেজ যে বাহিরের মেয়েদের দায়িত্ব নিবে না তা নয়। শিক্ষাবোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে এর ব্যবস্থা করা হবে।
এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে আরো বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক শীর্ষ কলেজগুলোর এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে পিছপা হবে না কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাবোর্ড অনলাইনে কলেজগুলোকে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা তাদের মানতে হবে। নিজেদের মন গড়া সিদ্ধান্ত মানলে হবে না।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এমন বিড়ম্বনার মধ্যে বোর্ডের ভুলেরও খেসারত দিতে হচ্ছে তাদের। সকাল থেকেই তাই এমন ভিড় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে।
বিড়াম্বনার শিকাড় হওয়া অভিভাবকদের কেউ কেউ বলেন, তারা তাদের সাধ্যের ভেতর আছে সেসব কলেজে আবেদন করেছেন। কিন্তু যেসব কলেজে আবেদন করেননি সেসব কলেজে তাদের নাম ছেলে-মেয়েদের নাম এসেছে।
আবার কেউ কেউ জানান, সরকারি কলেজে আবেদন করার পরও তাদের ছেলে-মেয়েদের নাম এসেছে প্রাইভেটে কলেজে। তারা এই সমস্যার সমাধানের জন্য রাজপথে বের হয়েছেন।
শিক্ষা বোর্ড বলছে, আগামী ৬ জুলাই প্রকাশ করা হবে দ্বিতীয় মেধা তালিকা। ওই তালিকায় এখনকার ভুলগুলো সংশোধন করা হবে।