চুয়াডাঙ্গায় হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন জাকির হোসেন। শুধু তাই নয়
বর্তমানে ১৫ হাজার হাঁস নিয়ে গড়ে তুলেছেন হাঁসের হ্যাচারি। এসব হাঁস ও
হাঁসের বাচ্চা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে।
জেলার আলমডাঙ্গার কুলপালা গ্রামে বসবাস করেন জাকির হোসেন। নিজেন আগ্রহে ২০০২ সালে প্রাণি সম্পদ বিভাগের পরামর্শে হাঁস পালনের হ্যাচারি গড়ে তোলেন তিনি। শুরুতে খাকি ক্যাম্বেল ও জিনডিং জাতের দুশ’ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন ছোট একটি খামার। ১৪ বছরে এখন চার বিঘা জমির ওপর হ্যাচারিতে হাঁসের সংখ্যা ১৫ হাজার।
জাকির হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘দুইশ হাঁসের বাচ্চা দিয়ে শুরু করে আজ এ অবস্থায় এসেছি। যখন শুরু করলাম তখন ভালো লাভ দেখে আরো বড়ো করা শুরু করেছিলাম।’
তিনি জানান, প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি করেছেন বর্তমান হ্যাচারিটি। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে ২৫ জন নারী-পুরুষের। সপ্তাহে ৬৪ হাজার ডিম উৎপাদন হয় এখান থেকে। আর ডিম থেকে প্রতিদিন নয় হাজার বাচ্চা ফুটানো হচ্ছে।
প্রায় তিনশ’ ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের খামারের হাঁস, হাঁসের বাচ্চা ও ডিম রাজধানী ঢাকাসহ মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছেন।