পেপ গার্দিওলার জন্য বড়সড় এক ধাক্কাই বটে। উদার হস্তে কাড়ি কাড়ি কড়ি ঢেলে দল সাজিয়ে মৌসুমের শুরুতেই বড়সড় লজ্জা। লেস্টার সিটির বিপক্ষে নিজ মাঠে লিগে ৫-২ গোলের হার। ম্যানচেস্টার সিটি আর অগ্রনেতা গার্দিওলার যেন লুকানোর সুড়ঙ্গ খোঁজার মতোই অবস্থা!
কী এক বিবর্ণ রাত ম্যানসিটির জন্য! সাফল্য ঠাঁসা কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথমবার নিজের দলকে হাতের পাঁচ আঙুল গুনে গুনে গোল হজম করতে দেখলেন গার্দিওলা। সেই ২০০৩ সালের পর এমন হার দেখল সিটিজেনরাও।
টানা দুই লিগ জেতা সিটি গত মৌসুমে ট্রফি হাতছাড়া করেছে লিভারপুলের কাছে। শিরোপা পুনরুদ্ধার মিশন, লেস্টার সিটির জেমি ভার্ডির হ্যাটট্রিক বুঝিয়ে দিল সামনে কেমন পরিকল্পনার ছকে ম্যানসিটিকে ভাঙা-গড়ায় মগজ খাটাতে হবে গার্দিওলার। ইপিএলে যে প্রতিযোগিতা, পাহাড়ই ডিঙাতে হবে বার্সা ও বায়ার্নের সফল সাবেক কোচকে।
ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ২০০৩ সালে আর্সেনালের বিপক্ষে ৫-১ গোলে হেরেছিল সিটি। সেই শেষ! আর গার্দিওলা ৬৮৭ ম্যাচে কোচিং করিয়ে এই প্রথম শিষ্যদের এত গোলের ভারে ডুবতে দেখলেন।
নতুন মৌসুমে দুই রাউন্ড খেলে এই হারে আপাতত টেবিলের ১৩তম স্থানে থাকা ম্যানসিটির এহেন ব্যর্থতার দায় নিচ্ছেন কোচ গার্দিওলা। সঙ্গে প্রতিপক্ষকেও দায় দিচ্ছেন তিনি। বলছেন, লেস্টার বস ব্রেন্ডন রজার্স রক্ষণাত্মক মানসিকতায় দলকে যেভাবে খেলিয়েছেন, সেটি সমালোচনার যোগ্য।
প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে না পারা আর নিজ রক্ষণে গুলিয়ে যাওয়া, সমস্যা যাই হোক সিটি কোচকে সেটা কাটিয়ে ওঠার পথ বাতলাতে হবে দ্রুতই। গার্দিওলা নিজেও সেটি জানেন। খানিক দেরি হলেই যে অনেক পিছিয়ে পড়তে হবে অসংখ্য ভালো ছাত্রের লিগ প্রিমিয়ারে, সেটা বুঝেই কিনা সমাধান খোঁজার শুরু করার কথাও বললেন স্প্যানিশ কোচ।
শিষ্যদের মানসিকতা বদলাতে হবে বলে জোর দিলেন ম্যাচ পরবর্তী কথাবার্তায়। অতীতে অসংখ্যবার যেমন সমস্যা থেকে উতরে গেছেন সেরার কাতারে, তেমনভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে চাল চালতে চান গার্দিওলা, বললেন হাল ছাড়ার সময় এটা নয়।
সিটি কীভাবে সমস্যা কাটিয়ে উঠবে ডলারের ঝনঝনানিতে ভরপুর রক্ষণ দেয়াল নিয়ে, সেটা পরের ম্যাচগুলোতেই বোঝা যাবে। আপাতত নতুন খেলোয়াড় কেনার আলোচনায় যেমন নেই, তাতে বলে দেয়াই যায় এই ম্যানসিটিকে লইয়াই গার্দিওলাকে পাহাড় ডিঙাইতে হইবে।