চট্টগ্রাম থেকে: ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচটা হয়েছিল ১৮৭৭ সালে। মেলবোর্নে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। ১৪০ বছর ধরে টেস্ট খেলার ঐতিহ্য ধারণ করা দুটি দলকেই হারানোর অভিজ্ঞতা হল মাত্র ১৭ বছর আগে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া বাংলাদেশের।
গত বছরের অক্টোবরে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংলিশদের হারায় টাইগাররা। বিশ্ব ক্রিকেটে যায় বার্তা, লড়াই করতে জানে বাংলাদেশ। এক বছরের মাথায় আরেক শক্তিধর টেস্ট খেলুড়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পেরে সেই বার্তাটা নতুন করে দিল লাল-সবুজরা।
মিরপুরে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের পর চট্টগ্রামে ৭ উইকেটের হেরে যাওয়ায় সমতায় শেষ হয়েছে সিরিজ। হারে আক্ষেপ থাকলেও সিরিজের প্রাপ্তিও নেহাত কম নয়। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের স্বস্তিটা তাই আরও প্রকট হচ্ছে।
‘অনেকেই ভেবেছিল ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমরা একটা টেস্ট কোনমতে জিতে গেছি। তারা এখানে এসেছে। এসে বলেছিল তারা ফেভারিট না। সবাই বিশ্বাস করছিল যে, বাংলাদেশ ভাল খেলে জিততেও পারে। এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারে না। প্রতিপক্ষ যখন আপনাকে সমীহ করা শুরু করবে, তারা ভাববে বাংলাদেশ বিপজ্জনক দল; ভাববে, বাংলাদেশ হোম কন্ডিশনে শুধু ওয়ানডে বা টি-টুয়েন্টিতে নয়, টেস্টেও বড় শক্তি হতে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। সেটা বড় বার্তা। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।’
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলকে টেস্টে হারানোর ব্যাপারটা কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের জন্য ছিল কল্পনাতীত। অসাধারণ সাফল্যের পর এই দুটি জয়ই সামনের পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। মুশফিক মনে করেন এই অর্জন ধরে রাখতে পারলেই যথাযথ সম্মানটা পাবে বাংলাদেশ।
‘জেতা সম্ভব। সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আরও কঠিন পরিশ্রম করবো এবং এই অনুপ্রেরণা সবাই কাজে লাগাবে। বিশ্ব ক্রিকেটের সবাই আমাদের সম্মান দেবে। সাকিবও প্রথম টেস্টের পর এ কথা বলেছেন। এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। আমাদেরকে এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। এটা বড় দায়িত্ব। আশা করি আমরা সেটা ধরেও রাখতে পারব।’
ছবি: সাকিব উল ইসলাম