উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,
সন্ধ্যা নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়বে। দুপুর
১২টার পরপরই ঘূর্ণিঝড়টি বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে।
সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিন এ বলা হয়, মূলত চট্টগ্রামের ওপরই এর বেশি প্রভাব
পড়বে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। উপকূলীয় অঞ্চলে এখন
প্রবল ঝড় ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুন্দ্র বন্দরকে ৭
নম্বর এবং কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
দুপুর একটায় চট্টগ্রাম থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলো ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। পায়রা বন্দর থেকে সবচেয়ে কাছে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে রয়েছে। রোয়ানুর প্রভাবে উপকূলের জেলাগুলোতে রাত থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে বরিশালে ১৫৬, খেজুপাড়ায় ১৮০ এবং ভোলায় ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন সব এলাকার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সারাদেশের নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, বন্ধ রয়েছে সকল ফেরি সার্ভিস।
উপকূলীয় এলাকায় ৩৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে উপদ্রুত মানুষকে আনা হচ্ছে। এই কাজে মোতায়েন করা হয়েছে ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল এবং দ্বীপগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হচ্ছে।