চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

উত্তাল মার্চের ১৫তম দিন

বাঙালীর গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালীর স্বাধীনতা, বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির মরনপণ লড়াইয়ে। স্মৃতির মনিকোঠা থেকে ১৯৭১-এর মার্চের সেই দিনগুলোকে সবার কাছে তুলে ধরতে চ্যানেল আই সংবাদের আয়োজন, উত্তাল মার্চের এই দিনে।

প্রচন্ড বিক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনীর প্রায় সব জেনারেলকে সাথে নিয়ে বিকেলে কঠোর সামরিক নিরাপত্তায় ঢাকায় আসেন ইয়াহিয়া খান। ঢাকা বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে টিক্কা খান তাকে স্বাগত জানান। এসময় কোনো সাংবাদিক ও বাঙ্গালিকে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা এবং রনাঙ্গন সংবাদদাতা হারুন হাবীব বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার দলের নেতৃবৃন্দ যারা ঐ বৈঠকে যেতেন তারা কিন্ত কখনোই আশাবাদি হতে পারেন নাই। তারা বুঝেছিলেন যে, পাকিস্তানীরা একটা চাতুরী বা চালাকি করছে।

তিনি আরো বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় পাকিস্তানের সেই চতুরতা, সেই চালাকী পাকিস্তানকে এক করতে দেয়নি। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধকে আরো তরান্বিত করেছে।

বায়তুল মোকাররমে জনসভা করে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সভায় আসম রব, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, শাজাহান সিরাজ, নূরে আলম সিদ্দিকীসহ শীর্ষ ছাত্রনেতারা বক্তৃতা করেন। তারা বলেন, দেশ চালাতে যদি কোন আইন জারি করতে হয় তা বঙ্গবন্ধুই করবেন। অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহবান জানানো হয়।

হারুন হাবীব আরো বলেন, এক দিকে যেমন আলোচনা করছে অন্যদিকে তেমনি ছাত্র নেতৃত্ব তাদের সাথেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিয়ত কথা বর্তা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু দুটি দিকই সামলাচ্ছেন এবং দুই বিষয়েই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের মনোবল চাঙ্গা রাখতেই এমন মনোভাব নিয়েছিলেন বলেও মনে করেন তিনি। আগের দিন শিল্পাচার্য্য জয়নুল আবেদিনের পাকিস্তানের খেতাব হেলালে ইমতিয়াজ বর্জনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে শিল্পী বুদ্ধিজীবিরা তাদের যাবতীয় সম্মাননা বর্জন করতে শুরু করেন। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের সমাবেশ।

বাঙালী অপেক্ষায় থাকে পরের দিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বৈঠকে কি হয় তা জানার জন্য। দিনব্যাপী সভা-শোভাযাত্রা হয় রাজধানী ঢাকায়।