দক্ষিণাঞ্চলের নদী বেষ্টিত কয়েক লাখ যাত্রীর যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম লঞ্চ। আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে এবার যুক্ত হচ্ছে ১১টি নতুন লঞ্চ ও জাহাজ। আধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি মধুমতি যুক্ত হয়ে বিআইডব্লিউটিসির বহরে থাকছে ৭ জাহাজ।
দুই ঈদেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘর মুখো মানুষের চাঁপ থাকে কয়েকগুণ বেশি। তাই দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ সামলাতে অন্যান্য বছরের মত এবারও ঈদে যুক্ত হচ্ছে ১১টি নতুন লঞ্চ। ইতোমধ্যেই নৌ-রুটে চলাচল শুরু করেছে অত্যাধুনিক সুরভী-৯, সুন্দরবন-৭ ও ঈগল নামের নতুন জাহাজ । দুএকদিনের মধ্যেই ঢাকা-বরিশাল রুটে এমভি ফারহান-৮, ঢাকা-মাদারীপুর রুটে এমভি পারাবত-১৪ যুক্ত হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ভাড়া নির্ধারিত করে দেওয়াই আছে আমরা নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবো না। যদি এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব”
সরকারী সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি’র ঈদ উৎসবের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে ১৪ জুলাই। ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল-ঝালকাঠী-পিরোজপুর-মোড়লগঞ্জ পর্যন্ত স্টিমার সার্ভিস এবং উপকূলীয় নৌ-পথে সি-ট্রাক সার্ভিসে নিয়মিত জাহাজের সাথে অতিরিক্ত জাহাজ যুক্ত হবে। ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল-ঝালকাঠী-পিরোজপুর-মোড়লগঞ্জ রুটে স্টিমার পিএস অষ্ট্রিচ, মাহসুদ, লেপচা, শেলা, বাঙ্গালী ও টার্ণ চলাচল করবে। এরসাথে যোগ হচ্ছে ঢাকা-বরিশাল রুটে অত্যাধুনিক জাহাজ এমভি মধুমতি। এবার প্রথমবারের মত বিআইডব্লিউটিসি’র যাত্রীবাহী নৌযানের টিকেট অনলাইন ‘সহজ ডট কম’-এ পাওয়া যাবে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান জানান, “গত বছরের তুলনায় এবছর আরও ভালোভাবে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
ঈদের পর চারদিন জাহাজের স্পেশাল সার্ভিস থাকবে। তবে যাত্রী চাহিদা থাকলে স্পেশাল সার্ভিস আরও দুইদিন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।