স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক তিমির নন্দী। পুরো ক্যারিয়ারে আছে অসংখ্য জনপ্রিয় গান। সুর-সংগীতেই পঞ্চাশ বছর অতিক্রম করা এ প্রবীন শিল্পী এবার আসছেন ভিন্ন ধারার একটি গান নিয়ে। যে গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ অন্তু গোলন্দাজ।
করোনাকালে এমনিতেই ঝুঁকিতে শিল্পীরা। বুঝেশুনে কাজ করছেন। সিনিয়র শিল্পীরা আরো সাবধান। তবু এই অবস্থার মধ্যেই নতুন একটি গানে কণ্ঠ দিলেন তিমির নন্দী। এইচ এ গোলন্দাজের লেখা গানটির শিরোনাম ‘বিষণ্ণ শিউলী ফুল’।
সম্প্রতি গানটির রেকর্ড সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান অন্তু গোলন্দাজ। জানালেন, রামপুরায় নিজের স্টুডিও ‘রঙ’ এ কণ্ঠ ধারণ করেছেন গুণী এই শিল্পীর। তিমির নন্দীকে নিয়ে নতুন এই গানটি নিয়ে অন্তু বলেন, এমন গুণী শিল্পীর সঙ্গে কাজ করা যে কারো জন্যই দারুণ সৌভাগ্যের! ‘বিষণ্ণ শিউলি ফুল’ যে ধরনের রোমান্টিক গান, এমন গানে তাকে খুব একটা দেখা যায়নি আগে। এটাও আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।
অন্তু জানান, ঈদের দিন নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল এ জি-তে গানটি প্রকাশ হবে। এই গানটি ছাড়াও একই চ্যানেলে তার সুর ও সংগীতে আরো তিনটি গান প্রকাশিত হবে। এরমধ্যে একটি গানের কথা লিখেছেন গোলাম মোরশেদ। ‘আমার দুঃখে জানি’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অপু আমান, প্রমা ইশরাতের কথায় সেরা কণ্ঠের ঝিলিকের কণ্ঠে আসছে ‘তোমার কথাই থাকুক’ এবং জরিনা ইস্কান্দারের লেখা ‘দুঃখ বিলাসী’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন লোটাস পারভীন। সবগুলো গানই ঈদকে কেন্দ্র করে।
প্রসঙ্গত, স্কুল কলেজ থেকেই গানের প্রতি পরম ভালোবাসা অন্তু গোলন্দাজের। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠেই কোনো বিকল্প না ভেবে সোজা মিউজিক নিয়ে করেন পড়াশোনা। ময়মনসিংহে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন ২০১১ সালে। এরপর থেকেই ছিলেন দেশের কিংবদন্তী মিউজিশিয়ান লাকী আখন্দের সঙ্গে। ছিলেন লাকী আখন্দের ব্যান্ড দল ‘হ্যাপী টাচ’-এর মিউজিক অ্যারেঞ্জার ও ভোকাল।
লাকী আখন্দের সুবাধে কাজ করেছেন দেশের গুণী সংগীতশিল্পী ও মিউজিশিয়ানদেও সাথেও। এরমধ্যে রেঁনেসা’র নকীব খান, পিলু খান, শাকিলা জাফর, আগুন, ফেরদৌস আরা, কিরন চন্দ্র রায়, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরীর মতো শিল্পীদের নামও আছে। ২০১৪ সালে ঈগল মিউজিকের ব্যানারে প্রথম প্রকাশিত হয় অন্তুর মিক্সড অ্যালবাম ‘দৃষ্টান্ত’। যেখানে গান গাওয়া ছাড়াও অ্যালবামটির মিউজিক ডিরেক্টরও ছিলেন তিনি নিজেই। আর ওই অ্যালবামেই ‘ঘুম আসে না’ শিরোনামে স্থান পায় এখন পর্যন্ত লাকী আখন্দের গাওয়া শেষ গানটি।