এক মাস রোজা থাকার পর ঈদের দিনে খাবার রুটিনটা একটু পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই এই পরিবর্তনের সাথে মিলিয়ে খাবার থেকে হবে পরিমিত এবং সুস্থতাকেও নিশ্চিত করতে হবে। তাই জেনে নিন কিছু ডাক্তারী পরামর্শ।
- আসলে ঈদের দিনের খাবারের তালিকাটাই এমন থাকে যেখানে সবজির পরিমান কম এবং মাছ, মাংস, মিষ্টি জাতীয়, অধিক মশলাযুক্ত, ড্রিংকস এই জাতীয় খাবার বেশি থাকে। তাই এসব খাবার খাবেন কিন্তু সুস্থতাকে স্বরণ রেখে।
- ঈদের খাবারের রান্নায় পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন— মাংস রান্নায় মশলা কম, চর্বি আগেই কেটে ফেলতে হবে। এছাড়া হাঁড়িতে রান্না না করে ওভেনে রান্না করতে পারেন তাহলে তেল কম লাগবে। অন্যদিকে বার-বি-কিউ, গ্রিল টাইপ খেলেও তেল, মশলা কম লাগবে।
- ডেসার্ট হিসেবে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেও, সেখানে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন। যেমন— রসে ডোবা মিষ্টি না খেয়ে ছানা জাতীয় কিংবা ফল-মুলকে ডেসার্ট হিসেবে খেতে পারেন।
- ঘুম থেকে ওঠার পর অন্যদিনের মতো সকালের হাঁটাকে সেদিন বাদ দেবেন না। নামাজ পড়বেন, সকালে একটু হাঁটবেন। এছাড়া সারা দিনের আনন্দের সময় বসে থেকে শুধু গল্প না করে, খেলাধুলার (হ্যান্ডবল, বালিশ খেলা ইত্যাদি) মাধ্যমে আনন্দকে উপভোগ করুন। তাহলে মজাও হবে, খাবারও হজম হবে।
- ঈদের দিন একেবারে গোগ্রাসে না খেয়ে বরং একটু গ্যাপ দিয়ে খাবার খান। অন্তত তিন-চার ঘন্টার ব্যবধানে খাবার খান। তাহলে হজম ভালো হবে।
- ঈদের দিন শরীর বেশি খারাপ থাকলে স্যালাইনও খেতে পারবেন। তবে কোল্ড ড্রিংকস কম খাবেন। এটা সাময়িক স্বস্তি দিলেও আসলে স্বাস্থ্যসম্মত নয়। যদি গ্যাসের বা বদহজমের সমস্যা থাকে তাহলে সকালে উঠেই ঔষধ খেয়ে নিতে পারেন।
- রান্না যে করবেন তাকে সচেতন থাকতে হবে। মশলা, ভেজিটেবল ওয়েলের পরিবর্তে নানা রকম অর্গানিক পাতা রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে। যেটা সুগন্ধি ছড়াবে এবং হজমেও সাহায্য করবে।
- অসুস্থ ব্যক্তিরা ঈদের দিনেও তাদের খাবারের রুটিন পরিবর্তন করবেননা। যেমন: যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা যদি মনে করেন, আজ তো ঈদ খাই-না এক টুকরা ইলিশ, গরুর মাংস কিংবা চিংড়ি। আসলে এসব সমস্যায় একদিন বলে কিছু নেই। সংযমী হতে হবে।
সর্বোপরি পরিমিত খান, সুস্থ থাকুন এবং ঈদ আনন্দকে উপভোগ করুন।
পরামর্শ দিয়েছেন ডা. নয়নমনি সরকার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।