স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়া মানুষদের প্রায় প্রতিবছরই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ভোগান্তি কমাতে সবসময় সরকারের নানা তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও শেষ পর্যন্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। এ যেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষদের চিরাচরিত নিয়তি। এবারও ঈদুল আযহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এখানেও নানা ভোগান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা চতুর্থ দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। সার্ভার বন্ধ থাকায় এই ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।
২০ আগস্টের টিকিট নিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় ছিল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে। টিকিট নিতে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন নানা অনিয়মের কথা। অভিযোগ রয়েছে, লাইনের শুরুর দিকে দাঁড়িয়েও টিকিট মেলেনি অনেক নারী যাত্রীর। শুরুর তিন ঘণ্টায় মাত্র ৫০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে নারীদের বুথে।’
এছাড়াও নানা ধরনের অনিয়মের খবর আসছে ঈদযাত্রাকে ঘিরে। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের খবর তেমন লক্ষণীয় নয়। এর উপর রেলের সার্ভার বন্ধ থাকার খবর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ এই সেবা চলাকালীন এমন সমস্যা কেন? এসময় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আরও প্রস্তুতি গ্রহণ এবং দায়িত্বশীল আচরণ সবাই প্রত্যাশা করে।
শুধু রেলপথ নয়, সড়কপথসহ অন্যান্য রুটেও যাত্রীদের হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, মহাসড়কে যানজট, দুর্ঘটনা এবং অন্যান্য ভোগান্তি লাঘবে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অগ্রিম প্রস্তুতি না থাকায় অনেক সময় সড়ক এবং নৌপথে এসময় দুর্ঘটনার খবর দেখা যায়। আমরা চাই, ঈদের আনন্দ উদযাপনের বদলে কোনো মানুষের যেন বেদনা পেতে না হয়।
তবে সরকারের একার পক্ষে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টদের সহায়তা একান্ত প্রয়োজন। পরিবহন খাত যে ব্যবসার পাশাপাশি একটি সেবা খাত, সংশ্লিষ্টদের তা অবশ্যই বুঝতে হবে। সেবার মানসিকতা নিয়ে ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।