ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার ইউনিয়ন ঢাল চরসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বইছে।
এদিন সকাল থেকেই মেঘনা নদীর ঢেউ বাড়তে শুরু করে। ইতিমধ্যে বেড়িবাধের বাইরে থাকা লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সকাল থেকে ভোলা সদর উপজেলার নাছির মাঝি ঘাট থেকে অবৈধ ভাবে ছোট ছোট কাঠের ট্রলারে করে যাত্রী নিয়ে মাঝের চর এ উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এতে করে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জেলা প্রশাসন বলছে, তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিন, চর মোজাম্মেল, দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর, নেয়ামতপুর, ভবানীপুর ও মদনপুর এবং ভোলা সদর উপজেলার চর কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর, চর বৈরাগী, বারাইপুর, ভোলার চর, কানাবগির চর, রামদাসপুর, রুপাতলি, রাজাপুর, পশ্চিম ইলিশা, ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়া ইউনিয়ন, চর চটকিমারার চারদিকে কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই। এসব এলাকায় পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নেই। তাই এসব এলাকার মানুষদের নিরাপদে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।