ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলো বাংলাদেশের ইলিশ। ফলে জামদানির পর দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের কোনো পণ্য এই স্বীকৃতি পেলো।
বৃহস্পতিবার পণ্যটির ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এমনিতেই ‘ইলিশ’ আর বাংলাদেশের নামটি এক হয়ে আছে। বিশ্বের মাত্র যে ১১টি দেশে ইলিশ পাওয়া যায়, তার চারভাগের তিনভাগই হয় বাংলাদেশে। ২০১৪-১৫ সালের হিসাবে, টাকার অঙ্কে যা ছিলো প্রায় সাড়ে পনেরো হাজার কোটি টাকার।
ফলে ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে বাংলাদেশি-ইলিশের সনদ পাওয়া এক রকম নিশ্চিতই ছিলো। তারপরও আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী দাবি তোলার পর দু’মাসের অপেক্ষা শেষে, এ আনুষ্ঠানিকতা। আর কোনো দেশ বা অঞ্চল এ মাছের নিজস্বতা দাবি না করায় এখন আনুষ্ঠানিকভাবেই ‘ইলিশ’ হলো বাংলাদেশের।
ইলিশের ওপর বাংলাদেশের মালিকানা সত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় রপ্তানীর ক্ষেত্রে সেই বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাগুলোর সনদ পাওয়াও সহজ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে জেলাভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যের নিবন্ধন করার প্রক্রিয়ার কথাও জানালেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস অধিদপ্তরের কাছে নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: