চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইরানে সরকার বিরোধি বিক্ষোভ দমনে ইন্টারনেট বন্ধ

ইরানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন শহরে সরকারের বিরুদ্ধে  দুই দিনের বিরল বিক্ষোভের পর শনিবার সরকারের সমর্থকরাও রাজপথে নেমে এসেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধের পাশাপাশি আনভেরিফাইড ভিডিও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যত কার্যকলাপ সব বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, সকল ধরনের গুজব এড়াতে ভ্রমণের বিধিনিষেধ ও নিকটবর্তী মিডিয়া ব্লাক আউট করা হয়েছে। জনগণকে যেকোন ধরনের ‘বেআইনি সমাবেশ’ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অজ্ঞাত অ্যাকাউন্ট থেকে বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ায় বিক্ষোভের তৃতীয় দিন মধ্যরাত থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সরকার বিরোধি বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড়ের ঘটনায় ইরানি কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন: বিশ্ব কিন্তু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

রক্ষণশীল মেহের নিউজ এজেন্সি থেকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রীয় তেহরানের একটা টাউন হল আক্রমণ করে, এবং ইরানের পতাকা পুড়িয়ে ফেলে।

বিক্ষোভ শুরু বৃহস্পতিবার, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ শহরে। কে বা কারা বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশাক জাহাঙ্গিরির ধারণা, দেশটির কট্টরপন্থী ও অতিরক্ষণশীল বিরোধীরা সম্ভবত প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

মাশহাদ শহরে বহু লোক রাস্তায় নেমে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ করে এবং হাসান রুহানির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী তেহরান এবং কেরমানশাহ, ইস্পাহান, কোম, কাজভিন, হামেদান, রাসত শহরে। কেরমানশাহে ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে জলকামান ব্যবহার করে।