চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ধস্তাধস্তি

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়ালেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

শনিবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের স্মৃতিসৌধ বেদিতে বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় পরিষদ ঘোষিত অংশ ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ইউনিটের দুই গ্রুপের শিক্ষকদের মধ্যে তিন দফায় এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে থাকলেও তাদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়। পরে শিক্ষক ইউনিটের সদস্যরা বেদি থেকে নেমে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর প্রতিবাদে বেলা ১১টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন উভয় পক্ষ।

জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পর একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংগঠনগুলো। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশ ফুল দেওয়ার পর জিয়া পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়। তখন ফুল নিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক কাজী আখতার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দারের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন শিক্ষক বেদিতে উঠেন।

এসময় সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম তাদের বাধা দেয়। এরপরও তারা বেদীতে উঠে পড়লে কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিনসহ প্রায় ১৫ জন শিক্ষক তাদের ওপর চড়াও হন।

এক পর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের ফুলের তোড়া ভেঙে ফেলে তারা। এরপর প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক স্মৃতিসৌধের উপর শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যান্যদের সামনে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে।

এসময় শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের বাধা দেয়। পরে তাদের সামনে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকদের বেদি থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকরা বেদি থেকে নেমে যায়।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন বলেন, তাদের জুনিয়র শিক্ষকরা আমাদের সিনিয়রদের সাথে বেয়াদবি করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি।

এ ঘটনার পর শিক্ষক ইউনিটের পক্ষ থেকে একটি মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গিয়েছিলাম। তাদেরও দাবি এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা।