ইন্দোনেশিয়ার মেদানে সামরিক কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ১শ ১৩ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে। উড়োজাহাজটি জনবহুল আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
১শ’ ১৩ জন আরোহী নিয়ে মেদান বিমান ঘাঁটি থেকে সুমাত্রার তানজুং পিনাং দ্বীপে যাওয়ার কথা ছিলো উড়োজাহাজটির। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই সামান্য উচ্চতায় চক্কর দিতে থাকে ৫১ বছর আগের তৈরি দ্য হারকিউলিস সি-ওয়ান থ্রি জিরো বিমানটি। এরপর আবাসিক এলাকার একটি হোটেল ও দুটি বাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি। মুহূর্তেই ধ্বংস্তুপে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
দুর্ঘটনার পরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু। কালো ধোয়া ও উৎসুক জনতার ভিড়ে ব্যাহত হয় উদ্ধার তৎপরতা। আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। ধ্বংসস্তপের ভিতর বহু মানুষ আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের আরোহীদের বেশিরভাগই সেনা সদস্য ও তাদের স্বজন। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক বলছে, গত এক দশকে ইন্দোনেশিয়ার সেনা ও পুলিশের ১০টি এয়ারক্রাফট দুর্ঘটনায় পড়েছে।
গত ডিসেম্বরেও এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয় ১শ ৬২ আরোহী। দশ বছর আগে মেদান শহরেই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় দেড়শ মানুষ। এতো বিমান দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশটির আকাশ পথের নিরাপত্তা।