কোরবানি ঈদ সামনে রেখে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় ক্ষতিকর ইঞ্জেকশন ও ট্যাবলেট খাইয়ে গরু স্বাস্থ্যবান করা হচ্ছে। বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও খামারিরা এ কাজ করছেন। তবে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, তারা বিষয়টি জানেন না।
গো খাদ্যের দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে গরু মোটাতাজা করতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক দ্রব্য। এক শ্রেণির অসাধু মৌসুমী গরু ব্যবসায়ী ও খামারি অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় ক্ষতিকর ইঞ্জেকশন বা ট্যাবলেট খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুর মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, যদি ইঞ্জেকশন বা ট্যাবলেটি একটি প্রাণিকে খাওয়ানো হয় সেই মাংস যদি মানুষরা খায়, বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা খায় তাহলে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে যদি এই মাংস খাওয়া হয় তাহলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
ক্ষতিকর ইঞ্জেকশন বা ট্যাবলেট ব্যবহারকারী খামারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. আবদুল লতিফ। তিনি জানান, জেলায় যেসব হাটে গরু কেনা বেচা হবে সে সমস্ত হাটে আমাদের মোবাইল টিম থাকবে। মেডিকেল টিম থাকবে। তিন সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসকরা থাকবেন।
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি গোপনে সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার হাট বাজারগুলোতে দেদারসে সরবরাহ করছে নিষিদ্ধ এসব ইঞ্জেকশন ও ট্যাবলেট।