সুন্দরবনকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ঐতিহ্য বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি।
আজারবাইজানের বাকুতে ৪৩তম সভায় ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে গতকাল প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি সুন্দরবনকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সুপারিশ করেছিলো। তবে, সভায় বিস্তারিতভাবে আলোচনার পর তা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে কিউবা, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং চীন সুন্দরবনকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার নতুন সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করে।
সেই সাথে আজারবাইজান, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, তিউনিসিয়া, তানজানিয়া, বুরকিনাফাসো, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে ও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতসহ ১৫টি সদস্য দেশ সরাসরি এ সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেয়।
কমিটিতে সুন্দরবন সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসিত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এ সময় সিদ্ধান্ত হয়, চলতি বছর বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানাবে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে হালনাগাদ তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সুন্দরবনকে বাংলাদেশের গর্ব হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “সুন্দরবন সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করবে।”
সুন্দরবনকে ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত এই সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক- ই- ইলাহী চৌধুরী।
প্রতিনিধি দলে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।