শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে চড় মেরে কানধরে ওঠবস করিয়ে নারায়নগঞ্জের বিতর্কিত এমপি সেলিম ওসমান সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, তিনি ওই শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করাননি! সে একজন (শ্যামল কান্তি ভক্ত) তার ছেঁড়া মাস্টার, নিজে নিজেই সে কান ধরে ওঠবস করেছে! বলা বাহুল্য আগে-পরের নানা ঘটনার জন্যে সেলিম ওসমানের কথা কেউ বিশ্বাস করেননি। আর তিনি সংবাদ সম্মেলনটি এমন এক সময় করেন এর আগের দিন নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের অকথ্য, ইতর শ্রেনীর ভাষায় তার গালাগালের ফোনালাপের অডিও ক্যাসেট মিডিয়াতে ফাঁস হয়! বাংলাদেশের আইনের শাসন স্বাভাবিক গতিতে চলছে না বলে এমন একজন ইতর শ্রেনীর ব্যক্তি এখনো গারদের বাইরে আছেন! তার এমপিত্বও এখনো টিকে আছে!
নারায়ণগঞ্জের এই স্কুল শিক্ষককে নিয়ে সাম্প্রতিক সব অভাবিত ঘটনার মূলে সে স্কুলের গভর্নিং বডির কর্তৃত্ব! গভর্নিং বডি শ্যামল কান্তি ভক্তকে সরিয়ে নিজস্ব কাউকে প্রধান শিক্ষক করতে চায়! এর কারণে শিক্ষক যেদিন তার ছাত্রকে মেরেছেন, এর কয়েকদিন পর মসজিদের মাইক ব্যবহার করে লোকজন জোগার করে শ্যামল কান্তি ধর্মীয় কটূক্তি করেছেন এই অভিযোগে মব দিয়ে তাকে মারধর করানো হয়! সেখানে পুলিশ ছিল, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ছিলেন। কিন্তু কেউ সেই মবের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি! ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে উত্তেজিত মবের বিরুদ্ধেতো পুলিশ এ্যাকশনে গেছে। এটাই পুলিশের কাজ। কিন্তু এখানে একজন সংখ্যালঘু শিক্ষককে মব দিয়ে পেটানো হলো! পুলিশ কোন টু শব্দ করলো না! দৃশ্যপটে নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত বাজে ভাবমূর্তির অন্যতম একজন এমপি এসে এক সময়কার গ্রামের মাতব্বরদের মতো আইন তুলে নিলেন নিজের হাতে! আইনের রক্ষক পুলিশ-প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সামনে চড়ালেন একজন বয়োঃবৃদ্ধ স্কুল শিক্ষককে! কান ধরে ওঠবস করালেন! নারায়ণগঞ্জের অথর্ব পুলিশ-প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করলেন সে দৃশ্য! ভিডিওতে ওই সময়ে তাদের কয়েকজনকে হাসতেও দেখা গেছে! আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া এমপি এরপর করালেন তাদের আসল কাজ! নিগৃহীত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বরখাস্ত করালেন তার দায়িত্ব থেকে। তাও আবার আরেকটি অপরাধ করে! শ্যামল কান্তি ভক্তকে বরখাস্ত করানো হয় ব্যাকডেটে!
কিন্তু এখনতো সেই যুগ নেই! সরকারের কৃতি্ত্বের ডিজিটাল যুগ এখন! এর কারণে সেলিম ওসমানের এনালগ কাজকর্ম ডিজিটালি প্রতিবাদ আকারে ছড়িয়ে পড়লো অনলাইনে! ‘সরি স্যার’ শিরোনামে কান ধরে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়লো সবখানে! প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়লো বিদেশেও। যেখানে যেখানে বাংলাদেশিরা থাকেন। কারণ সেলিম ওসমান এখানে শুধু অবিশ্বাস্যভাবে একজন শিক্ষকের গালে চড় মারেননি! তাকে কান ধরে ওঠবস করাননি! তিনি চড় মেরেছেন বাংলাদেশের সামাজিক মূল্যবোধের গালে! শিক্ষক সম্প্রদায়ের গালে! দেশের অন্যতম ক্ষয়িষ্ণু একটি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের গালে! এর প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র হবার কারণ নারায়নগঞ্জে এবং সারাদেশের মানুষের কাছে ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়ের ইমেজটি মোটেই ভালো না। তাদের দাদা-বাবার অনেক অবদান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠায়। কিন্তু এই ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়ের ইমেজ জবরদস্তির! আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যদের আবার আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থার অভাব!
সে কারণে এই পরিবারের প্রয়াত সদস্য নাসিম ওসমান তার পিতৃপ্রতিষ্ঠিত দল ছেড়ে স্বৈরাচার এরশাদের জাতীয় পার্টিতে চলে গিয়েছিলেন! নাসিম ওসমান মারা যাবার পর ভাইয়ের আসন পেতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সেলিম ওসমান! কাজেই এটি এখন আর খাঁটি আওয়ামী পরিবার না। মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠিত, স্বার্থ-ধান্ধার জন্যে এরা যা খুশি করতে পারে! আবার নাসিম-সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টিতে গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত একটি দুর্বলতার কারনে মানুষ এদেরকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী পরিবারের সদস্যই ভাবে! কারণ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনি যখন ভারতে অসহায় জীবনযাপন করছিলেন তখন এই ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়ের বাবা তথা তার শামসুজ্জোহা চাচা দিল্লী গিয়ে তার খোঁজখবর রাখতেন। এর জন্যে জোহা চাচা’র ছেলেদের দায়িত্ব তার। কৃতজ্ঞ শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবেই কথাগুলো বলেছিলেন। কিন্তু অকৃতজ্ঞ ওসমান ভ্রাতৃদ্বয় তার দুর্বলতার সম্মান রাখেনি! নারায়ণগঞ্জের লোকজন জানে হেন কোন অকাম নেই যা ওসমান ভ্রাতৃদ্বয় আর তাদের সন্তানরা করছে না! সর্বশেষ একজন হিন্দু শিক্ষককে শারীরিকভাবে নিগ্রহের সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের শ্লোগান, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দেয়া হয়েছে! সেলিম ওসমানতো আওয়ামী লীগ করেন না। তার শ্লোগান বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। কিন্তু তার দুষ্কর্মের সময় সেখানে জয় বাংলা ধবনি কেনো?
নারায়ণগঞ্জের সাত খুন, নূর হোসেনকে পালাতে সাহায্য করার টেলিকথোপকথনের ক্যাসেট বেরুবার পর সন্দেহের আঙ্গুল শামীম ওসমানের দিকে! নূর হোসেন যে এতোবড় দাগী ক্রিমিনাল হয়েও কোর্টে আনা-নেয়ার সময় হাসে, সে ছবি দেখে মানুষের মনে সন্দেহ শামীম ওসমানের দিকে বাড়ে! সেলিম ওসমান শামীম ওসমানের ভাই সে কারণেই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ এভাবে এতদ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে! কারণ মানুষ একজন বিনীত মানুষকে পছন্দ করে। দুর্বিনীত কাউকে দেখলে তাকে-তাদেরকে ঘৃণা করে। নেতাকে বিনীত হতে হয়। এটি রাজনীতির আরেক সহজপাঠ। কিন্তু ওসমান ভ্রাতৃদ্বয় মানুষের কাছে দুর্বিনীত-বেয়াদব হিসাবে চিহ্নিত। সে জন্যে সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সেলিম ওসমান সম্পর্কে বলেছেন, তিনি সংসদ সদস্যদের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করেছেন। অত দম্ভ থাকা ভালো নয়।
কিন্তু স্তভিত বাংলাদেশ এই ঘটনায় এও দেখলো একজন এমপি জবরদস্তিমূলক যা খুশি তাই করে যাচ্ছে কিন্তু রাষ্ট্র তার বুড়ি ছুঁতেও পারছেনা! একজন শিক্ষককে হেনস্থায় দেশব্যাপী প্রতিবাদের মুখে ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠনের সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীত শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে তড়িঘড়ি বরখাস্ত করানো হয়! এর পিছনে যে নির্যাতনকারী এমপি সেলিম-শামীম ওসমান ভ্রাতৃদ্বয় তা বুঝতে পন্ডিত হবার দরকার পড়েনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে কটাক্ষমূলক বক্তব্যের অভিযোগের সত্যতা পায়নি। এর জন্যে সেই শিক্ষককে তার দায়িত্বে পুনর্বহাল, সংশ্লিষ্ট স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উল্টো সেই নিগৃহীত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতকে মাঠে নামানো হয়! রিফাত নামের যে ছেলেটিকে মারধরের ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত সেই রিফাত ঘটনার পর সরকার সমর্থক একাত্তর টেলিভিশনকে ইন্টারভ্যু দিয়ে বলেছে, শিক্ষক শ্যামল কান্তি তাকে মারধরের সময় আল্লাহ বা ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। সেই রিফাতকেই নতুন পাঞ্জাবি পরিয়ে হেফাজতের মিটিং’এ এনে বলা হয় শ্যামল কান্তি স্যার ধর্মের বিরুদ্ধে বলেছেন! সে তার বিচার চায়! এসবের পিছনে যে সেলিম-শামীম ওসমান ভ্রাতৃদ্বয় রয়েছেন তা বুঝতে কষ্ট হয়না।
এখানে আমির হোসেন আমু, মোহাম্মদ নাসিম, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, নূরুল ইসলাম নাহিদের মতো সিনিয়র মন্ত্রীরা রাষ্ট্রের হয়ে সেলিম ওসমানের অন্যায়-জুলুমবাজির বিরুদ্ধে কথা বলেন। আর সেলিম ওসমান তাদের তথা রাষ্ট্রকে জবাব দেন ভিন্ন উস্কানিতে! সারাদেশের মানুষের দাবি জুলুমবাজ সেলিম ওসমানের গ্রেফতার-বিচারের। আর সেলিম ওসমান বিচার দাবি করান জুলুমের শিকার শিক্ষক শ্যামল কান্তির! রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে তার উস্কানি-ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিরাপত্তা সমস্যার কথা ভেবে সরকারি উদ্যোগে শ্যামল কান্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এতোদিন অভিযোগ করা হতো বিএনপি-জামায়াতের কথায় উঠে বসে নাচে হেফাজত! কিন্তু এবার দেশের মানুষ অবাক হয়ে দেখলো নারায়নগঞ্জের জুলুমবাজ ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে একজন নিরীহ হিন্দু শিক্ষকের বিচারের দাবিতে সরকারকে বাহাত্তর ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় হেফাজত! এর মাঝে শ্যামল কান্তি ভক্তকে হত্যার জন্য ফেসবুকে হুমকি দেয়া হয়েছে! কিন্তু সরকারের বহুল আলোচিত ৫৭ ধারা এক্ষেত্রে অচল! জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে দাঁড়িয়ে নারায়ণগঞ্জের ছাত্রলীগ সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা নারায়নগঞ্জ অচল করে দেবার হুমকি দেয়! এর মাঝে একাধিকবার সেখানকার রাস্তায় নানান নৈরাজ্য হয়েছে। কামাল লোহানীর মতো সিনিয়র একজন সাংবাদিকককে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে তাকে এবং তার মতো আর কাউকে নারায়ণগঞ্জ ঢুকতে দেয়া হবে না! কিন্তু রাষ্ট্র এক্ষেত্রে নীরব! কারণ সেই যে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য! জোহা চাচার ছেলেদের দায়িত্ব তার! এটিই এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন-পুলিশের গাইড লাইন হয়ে আছে! অথবা তারা এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শ প্রাপ্ত! অতএব এ পরিস্থিতির সাফ কথা ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়ের জুলুম বন্ধ করতে চাইলে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। সাফ বলতে হবে, জোহা চাচার প্রতি কৃতজ্ঞতার অর্থ এই নয় যে, তার ছেলেরা যা খুশি করবে আর তিনি তা মেনে নেবেন। আইন চলবে তার নিজের গতিতে।
নারায়ণগঞ্জের সর্বশেষ ঘটনা অনেক কিছুর সঙ্গে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ঐতিহ্যের বিশ্বাসেও চিড় ধরিয়েছে। যে যেভাবেই দেখুক অথবা ভাবুক না কেন এটি সত্য দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সিংহভাগ চোখ বন্ধ করে সব সময় আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আর কোথায় তারা যাবেন? যাবার জায়গা কোথায়? কিন্তু সে বিশ্বাসের জায়গাটি এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে! বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণদের মধ্যে। এমন অনেক তরুণ আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। তাদের প্রতিদিনের নানা কষ্ট-প্রশ্ন তারা আমার সঙ্গে শেয়ার করেন। আমি তাদের মনের ভাষা পড়তে পারি। আওয়ামী লীগের ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি এখন শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে প্রতারণামূলক রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না, নারায়ণগঞ্জের ওসমান ভ্রাতৃদ্বয় জাতীয়দের কর্মকান্ডের কারনেও এখন প্রশ্নের মুখে।
কাজেই নির্যাতক সেলিম ওসমান যখন একজন হিন্দু শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ঔদ্ধত্যের উচ্চারনে ‘তার ছেঁড়া মাস্টার বলেন’, দেশের একটি ক্ষয়িষ্ণু অথচ গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রদায়ের আওয়ামী লীগের প্রতি বিশ্বাস-আস্থার সম্পর্কের তারটি যে ছিঁড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়, আওয়ামী লীগের প্রতি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ হিসাবে তা আমি টের পাই, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ-নীতি নির্ধারকরাও নিশ্চয় টের পান। কাজেই আরও ক্ষতির আগে নারায়ণগঞ্জের এই জুলুমবাজ ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়কে থামান অতি দ্রুত। নইলে কিন্তু আখেরে পস্তানোর সময় পাবেন না।
শ্যামল কান্তিকে কিন্তু এরা মেরে ফেলবে। গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা সমর্থকদের নাস্তিক আখ্যা দিয়েছিল হেফাজত। তাদের হত্যা করতে শুরু করেছে হেফাজতীয়দেরই আরেক উইং। সেই হত্যাযজ্ঞ এখনো চলছে। শ্যামল কান্তিকেও হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের জুলুমবাজ ওসমান ভ্রাতৃদ্বয় প্রভাবিত-নিয়ন্ত্রিত হেফাজত। রাষ্ট্র যদি এখন শ্যামল কান্তির জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হয় সেটি হবে আওয়ামী লীগের আরেক ব্যর্থতা। অতএব সাধু সাবধান।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল
আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)