ঘরের মাঠের চেনা কন্ডিশন ছেড়ে এবার মিশন সাউথ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ঘাসে ঢাকা সবুজ বাউন্সি উইকেটে। কীভাবে সামলাবে হঠাৎ হঠাৎ সেখানে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা? চম্পকা রামানায়েকে মানছেন সিরিজে আসল চ্যালেঞ্জটা অপেক্ষা করছে টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্যই। বোলারদের জন্য অবশ্য সুসংবাদ দিয়েছেন হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের পেস বোলিং কোচ।
উইকেটে সবুজ ঘাস থাকায় ঐতিহ্যগতভাবেই সাউথ আফ্রিকায় সুবিধা পেয়ে থাকে পেস বোলাররা। বাউন্স থাকায় উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য একরকম বধ্যভূমিই বলা চলে সেখানকার উইকেটগুলো। রামানায়েকে মনে করিয়ে দিলেন সেই কথাগুলোই।
বৃহস্পতিবার বিসিবিতে সংবাদকর্মীদের সামনে এসে বললেন, ব্যাটসম্যানদের জন্য নিউজিল্যান্ড সফরের মতই চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে সাউথ আফ্রিকা সফর, ‘ওদের উইকেটে বেশ ঘাস থাকে। উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য বেশ কঠিনই ওখানে ব্যাট করা। সিরিজটা নিউজিল্যান্ড সফরের মতই কঠিন হতে যাচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ড সফরেই অবশ্য ব্যাটে দারুণ কিছু করেছিল বাংলাদেশ। টেস্টে ৩৫৯ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। সাকিবের ২১৭ রানের সঙ্গে অধিনায়কের ব্যাটে এসেছিল ১৫৯ রানের ঝলমলে ইনিংস। সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন রামানায়েকে। সেটা অনুপ্রেরণা হতে বলে মনে করছেন এই লঙ্কান, ‘নিউজিল্যান্ডে ভালো কিছু ইনিংস ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তারা এখনও বেশ ভালো ফর্মে আছে। আশা করি সাউথ আফ্রিকাতেও ভালো করবে।’
পাশাপাশি বোলারদের জন্যও সুযোগ দেখছেন তিনি। ঘাস থাকায় টাইগার পেসাররা প্রোটিয়া ব্যাটম্যানদের চেপে ধরবে বলেই আশাবাদ রামানায়েকের, ‘ওখানে বোলাররা ভালো করবে। বোলিং করে স্বস্তি পাবে। দ্রুত কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে পারলে, ওদের ব্যাটসম্যানরা কিন্তু চাপেই থাকবে।’
রামানায়েকের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মিনহাজুর আবেদীন নান্নুও। রুবেল-মোস্তাফিজদের বিশ্বমানের বোলার উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচক ভরসা রাখছেন ব্যাটসম্যানদের উপরও। যারা ফর্মে আছে, যারা নেই, রানে ফিরবে সকলেই; এমন আস্থা নান্নুর, ‘সেখানকার পিচ অনেক গতিময়, বাউন্সি উইকেটে খেলা হবে। আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও সামর্থ্য আছে ভালো ইনিংস খেলার। বিশ্বমানের কাছাকাছি বোলার আছে আমাদের। অনভিজ্ঞতা কিছু আছে হয়ত, তবে যত খেলবে ততই তাদের পরিপক্বতা বাড়বে।’