বাংলাদেশী আল কায়েদা জঙ্গিদের দৃষ্টি এখন ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে। সেখানে গিয়ে শুধু প্রশিক্ষণ নয়, সরাসরি যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরে খেলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে তারা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক জঙ্গিরা এমনই তথ্য দিয়েছে। এসব জঙ্গিদের সিরিয়া যাওয়া বন্ধে সতর্ক করা হয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশকে।
রাজধানীর দারুস সালাম এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক ও এক উপদেষ্টাসহ ১২ জঙ্গিকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা জানিয়েছে, মূলত নেটওয়ার্ক গোছানোর কাজের পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে তারা। গোয়েন্দারা এখন জানার চেষ্টা করছেন আর কারা এর সঙ্গে জড়িত।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ফরেন ফাইটার হিসেবে এরা সিরিয়ায় যেতে আগ্রহী। সেখানে হাতে কলমে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর দেশে এসে এরা ব্যাপকভাবে দল গুছিয়ে, ইরাক বা সিরিয়ার মতো কোনো এলাকাকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করে তারা কথিত ‘খিলাফত’ ঘটানোর চেষ্টা করবে। এখন যেমন ইরাক বা সিরিয়ায় ফরেন ফাইটাররা যায় তেমন একসময় এদেশেও ফরেন ফাইটাররা এসে একসাথে তাদের সাথে সামিল হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে।
তিনি আরো বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথেও আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। তারাও অনেক যাচাই বাছাই করছে। যারা ওসব এলাকায় যাচ্ছে, কেবল ভিসা থাকলেই তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা। প্রশ্ন করে তাদের বোঝা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের দলে নিতে খোঁজা হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তিতে খুবই দক্ষ ও অভিজ্ঞদের।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, আনসারউল্লাহ বাংলা টিম এর সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
তবে ঢাকায় বিশিষ্ট নাগরিকদের হত্যার হুমকি তারাই দিয়েছিলো কি না, তা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি আইএস জঙ্গিরা।