চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আলো জ্বেলে অন্ধকারে ভারত

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি ছিল ভারতের সামনে। শুরুতে বোলাররা ডোবালেও কিউই মাটিতে ইতিহাস রচনায় পথে আলো জ্বেলেছিলেন ব্যাটসম্যানরা। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র চার রানের জন্য অন্ধকারে ভারত। ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতলেও টি-টুয়েন্টি সিরিজ ২-১এ হারল সফরকারীরা।

টস জিতে রোহিত শর্মার বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত এদিন একেবারে বুমেরাং হয়ে ফেরে। ভারতীয় বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তোলে কিউইরা। জবাবে ভারত করে ৬ উইকেটে ২০৮ রান। হার ৪ রানের।

সোয়া দুইশ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ছয় রানের মাথায় আউট হন শেখর ধাওয়ান (৫)। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বিজয় শঙ্করকে নিয়ে ৭৬ রান তোলেন রোহিত শর্মা। যদিও বেশ ধীর ইনিংস খেলেন রোহিত। ২৮ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৪৩ রানে সেটা পুষিয়ে দেন শঙ্কর।

শঙ্কর ফেরার পর ক্রিজে এসে রানে চাকা প্রয়োজন মতোই ঘুরিয়েছিলেন রিশভ পান্ট। ৯ ওভারে দলীয় স্কোর একশ ছাড়ানোর পথে মাত্র ১২ বলে ২৮ রান করেন বাঁহাতি এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।

দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়াও। কিন্তু ১১ বলে ২১ রান করে পান্ডিয়া ফেরাতেই যেন ছন্দ হারায় ভারত। দ্রুত ফেরেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও (২)।

ভারত দ্রুত তিন উইকেট হারানোয় মনে হয়েছিল ম্যাচের রশি চলে গেল নিউজিল্যান্ডের হাতে। তখনই মারকাটারি জুটিতে ভারতে ম্যাচে ফেরান দিনেশ কার্তিক ও ক্রুনাল পান্ডিয়া।

শেষ তিন ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৪৮ রান। প্রথম দুই ওভারে হিসেব কষেই যেন ৩২ রান এল। শেষ ওভারে ১৬। কিন্তু ১৮তম ওভারে ১৬ রান দেয়া টিম সাউদিই শেষ ওভারে আটকে দিলেন ভারতকে। কার্তিক-পান্ডিয়াকে ১১ রানে বেধে রেখে দলের জয় জয় এনে দেন ৪ রানের।

১৬ বলে চারটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন কার্তিক। আর ১৩ বলে সমান দুই চার ও দুই ছক্কায় ২৬ রান পান্ডিয়ার। দুজনে অপরাজিত থাকলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি।

কিউইদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ডারিল মিচেল ও মিচেল স্যান্টেনার। ম্যাচসেরা হয়েছেন ৭২ রান করা কলিন মুনরো।

আগে মুনরো-সেইফার্ট জুটির ঝড়ো ব্যাটিং শুরুতেই ভারতকে চেপে ধরে। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের ডান-বাম ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬৬ রান। পরের সময়টাও একই অবস্থা।

৪০ বলে ৭২ রানের দামি ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন মুনরো। উইকেটে আরও মিনিট দশেক থিতু হলে টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের চার নম্বর শতরানটা হাঁকিয়ে ফিরতে পারতেন হয়তো। ইনিংস ভাগাভাগি করে নেন ৫টি চার ও ৫টি ছয় দিয়ে।

অপর ওপেনার সেইফার্টের সংগ্রহ ২৫ বলে ৪৩ রান। কেনো তাকে ম্যাককালামের যোগ্য উত্তরসূরি বলা হচ্ছে বুঝিয়ে দিলেন ডানহাতি। দুই ওপেনারের জুটিতে ওঠে ৮০ রান।

উইলিয়ামসনের ধৈর্যশীল ২৭ আর শেষদিকে অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ১৬ বলে ৩০ রানের মারকাটারি ইনিংসে ভর করে দুশো পার করে নিউজিল্যান্ড। মিচেলের ১১ বলে ১৯ ও টেলরের ৭ বলে ১৪ রানে ভর করে ভারতকে ২১৪ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় তারা।

ভারতের হয়ে কুলদীপ ২৬ রানে ২ উইকেট ছাড়া সকলেই হাত খুলে রান খরচ করেন।