বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সরকারকে পজিটিভ রাজনীতি আহ্বান জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশের স্বার্থে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি রাস্তা বের করুন, যাতে সকলের নিকট একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায় এবং এতে মানুষ ভোট দিতে পারে। ’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে, পায়ের নিচে মাটি নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে চায়। কিন্তু এই দেশের ইতিহাস আছে, যাদের ওপর ভর করে ক্ষমতা চালাচ্ছেন, জনগণ জেগে উঠলে সময় এলে এরাও পাশে থাকবে না।’
“তাই যা হয়েছে সেই নেতিবাচক বিষয় বাদ দিয়ে পজিটিভ রাজনীতি করুন। দেশের মানুষের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিন। আমরা বলি না বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া হোক। কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন।”
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যে সংলাপ করছে এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কী না-তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
“ইসি দুই মাস ধরে যে সংলাপ করেছে সেটি একটা লোক দেখানো আইওয়াশ। সংলাপে অংশ নেয়া সবাই বলেছে যে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এখন জাতি তাকিয়ে আছে ইসি কি করে। কিন্তুু ইসি কিছুই করতে পারবে না। কারণ সরকারের বাইরে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করার শক্তি নেই। এরপরও আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে কী না, যাতে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মামলার মাধ্যমে তাদের সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দুরে রাখতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
সরকারের ‘কৌশল’ তছনছ করে দিতে না পারলে জাতীয়তাবাদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলেও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন মির্জা ফখরুল।
নগর বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পটু প্রমুখ।