বাংলাদেশের নতুন ঘরোয়া মৌসুম শুরু হয়েছে সোমবার, জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে। শুরুর দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ঘরোয়ায় রানবন্যা ছোটানো তুষার ইমরান। সাদমান ইসলাম ও আরিফুল হকও সেঞ্চুরির দেখা পান।
রংপুরের হয়ে খেলা আরিফুল দ্বিতীয় দিনে শতককে দ্বিশতকে টেনে থেমেছেন। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঢাকার রনি তালুকদারও। আশরাফুল করেছেন ফিফটি।
খুলনা-রাজশাহী
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে টায়ার-১ এর ম্যাচে খুলনা বিভাগ প্রথম দিনে ৫২.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় ২১০ রানে। তুষার ১৪ চার ও ২ ছয়ে ১৪৪ বলে ১০৪ রান করেন।
রাজশাহী বিভাগের হয়ে শফিউল ইসলাম ৪৩ রানে ৫টি, দেলোয়ার ও সানজামুল নেন ২টি করে উইকেট।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ১ উইকেটে ১২২ রানে দিন শেষ করেছিল। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৬ রানে ফেরেন। আর ৭৪ রানে অপরাজিত থাকা মিজানুর রহমান দ্বিতীয় দিনে এসে থামলেন ১১৫ রানে। ফারহাদ হোসেন ৮৩ রান করেছেন। জহুরুল ইসলাম অপরাজিত আছেন ৯১ রানে।
তাতে ৬ উইকেটে ৪৪৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে রাজশাহী। ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে লিড বাড়াতে নামবে দলটি। খুলনার হয়ে আফিফ ৩ উইকেট নিয়েছেন।
রংপুর-বরিশাল
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে টায়ার-১ এর আরেক ম্যাচে আগেরদিনে রংপুরকে ব্যাটে পাঠায় বরিশাল বিভাগ। ৫ উইকেটে ৩০০ রান তুলে দিন শেষ করে উত্তরবঙ্গের দলটি। দ্বিতীয় দিনে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ৫১০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে রংপুর।
রংপুর বিভাগের হয়ে জাহিদ জাবেদ ৬২ ও নাঈম ইসলাম ৯২ রানে ফেরেন প্রথম দিনে। আর সেঞ্চুরি তুলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ১৮১ বলে ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক। এ অলরাউন্ডার দ্বিতীয় দিনে থেমেছেন ক্যারিয়ার সেরা ২৩১ রানের ইনিংস খেলে। ২১ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংস তার। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে এশিয়া কাপ খেলতে দুবাই গেলেও কোনো ম্যাচে নামার সুযোগ হয়নি আরিফুলের।
বরিশালের হয়ে সোহাগ গাজী ও মনির ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে এক উইকেটে ৯১ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বরিশাল। শাহরিয়ার নাফিস ২৪ রানে ফিরে গেছেন। রাফসান ৫৩ রানে তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামবেন।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টায়ার-২ এর ম্যাচে প্রথম দিনে রানবন্যার ইঙ্গিত দিয়েছিল ঢাকা মেট্রো। ৪ উইকেটে ৩৩২ রান তুলে দিন শেষ করা দলটি এদিন গুটিয়ে গেছে ৪২৬ রানে।
উদ্বোধনীতে সৈকতকে(৪২) নিয়ে ১১২ রানের জুটি গড়া সাদমান ইসলাম আগেরদিনই তুলে নেন দেড়শ পেরোনো ইনিংস। ২০ ও ২ ছক্কায় ২৩৮ বলে ১৫৭ রানে ফেরেন সাদমান। মার্শাল আইয়ুব ফেরেন ৫০ রানে। এক রানে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল দ্বিতীয় দিনে ফিফটি তুলে ৫৩ রানে থেমেছেন।
সিলেটের হয়ে এনামুল হক জুনিয়র ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সেরা। পরে ব্যাট করতে নেমে ১৩২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে সিলেট। এনামুল জুনিয়র ৩৭ ও শাহানুর ৩৪ রানে দলটির মান বাঁচাতে লড়ছেন।
মেট্রোর হয়ে আরাফাত সানি ৩টি ও আশরাফুল ২টি করে উইকেট নিয়ে সিলেটকে বিপাকে ফেলেছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টায়ার-২ এর আরেক ম্যাচে প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম বিভাগ। ঢাকা পরে ৮১ ওভারে ২৩৮ রান তুলে গুটিয়ে যায়।
প্রথম দিনশেষে ২৫ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রাম দ্বিতীয় দিনে গুটিয়ে গেছে ১৪২ রানে। শাহাদাত ঢাকার হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা।
ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে উদ্বোধনীতে ১৭৬ রান তুলে দিন শেষ করেছে। প্রথম ইনিংসে রনি তালুকদার ৫৯ করেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিক ১০০ করে অপরাজিত আছেন। সঙ্গী আরেক ওপেনার আব্দুল মাজিদ ৬৬ রানে অপরাজিত।
চট্টগ্রামের হয়ে ৫ উইকেট নিয়ে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন ছিলেন প্রথম দিনের চমক। দ্বিতীয় দিনে সাফল্যের দেখা পাননি।