দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের দুটি ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে রান দেওয়ার অভিযোগে দুই ক্লাবকে নিষিদ্ধ করাসহ জড়িতদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এরচেয়ে আরও বড় শাস্তির কথা ভাবা হয়েছিল বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ সোহেল।
মঙ্গলবার তিনি জানান, লালমাটিয়া ক্রিকেট ক্লাব এবং ফিয়ার ফাইটার্সকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া লালমাটিয়া ক্লাবের সুজন মাহমুদ ও ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবের তাসনীম আহমেদকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর কোচ, অধিনায়ককে পাঁচ বছর ও ম্যাচ দুটি পরিচালনাকারী আম্পায়ারদের ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে এত বড় শাস্তি আগে পায়নি কোনও ক্রিকেটার বা ক্লাব।
৪ বলে ৯২ রান তোলার ঘটনা ঘটে ১২ এপ্রিল। সিটি ক্লাব মাঠে লালমাটিয়া ক্লাবের স্ট্রাইক বোলার সুজন মাহমুদ ইচ্ছা করে বাজে বলে করেন। ২০টি ডেলিভারি দিয়ে চারটি বৈধ বল করেন তিনি। প্রথম ওভারের ওই ২০ ডেলিভারিতেই প্রতিপক্ষ ম্যাচ জিতে নেয়। ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৪ বলে।
তার দুইদিন আগে ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবের বোলার তাসনিম হাসান ১.১ ওভারে ৬৪ রান দেন। এ দুটি ঘটনায় তদন্ত শেষে মঙ্গলবার শাস্তির কথা ঘোষণা করেন শেখ সোহেল।
‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আন্তর্জাতিকভাবে অপদস্থ করার জন্য এই কাজ করা হয়। জড়িতদের কোনও ছাড় দেব না। এটা ধিক্কারজনক অপরাধ। এর চেয়ে বড় শাস্তি থাকলেও আমরা দিতাম।’ বলেন সোহেল।
আকসুও একটি রিপোর্ট দিয়েছে জানিয়ে সোহেল বলেন, ‘অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্লাবের কর্মকর্তা, কোচ, ম্যানেজার, ক্যাপ্টেন ছাড়া কোনও বোলার এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে না। আম্পায়াররা খেলা বন্ধ না করতে পারায় আমরা তাদেরও শাস্তি দিয়েছি।’