মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নির্বাহী আদেশে যে ৭টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে ইরাক একটি। তাই এর পাল্টা জবাব হিসেবে ইরাকেও আমেরিকানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ডাক উঠেছে।
ইরাকের এক পার্লামেন্টারি প্যানেল ট্রাম্পের ‘মুসলিম নিষিদ্ধকারী’ নির্দেশের ‘ফিরতি নীতি’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরও ইরাকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে বাগদাদ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ইরাকি পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, “সন্ত্রাসের যুদ্ধে সবচেয়ে বিপদে রয়েছে ইরাক… আর সেই ইরাকিদের সঙ্গেই এরকম আচরণ খুবই অন্যায়।”
শুক্রবার সিরিয়া,ইরান ও ইরাকসহ মোট ৭টি মুসলিম-প্রধান দেশ থেকে শরণার্থী ও ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ ৯০ দিনের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ার নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি শরণার্থী নথিকরণ কার্যক্রম ১২০ দিনের জন্য প্রত্যাহার করেন।
এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পার্লামেন্টারি প্যানেল একত্রে বসে এ সিদ্ধান্ত নেয় এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী ইস্যুর জবাবে ইরানে মার্কিন নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয় ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত না পাল্টালে ইরানেও মার্কিন নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।