‘অনেক ছোটবেলা থেকেই উনাকে(আইয়ুব বাচ্চু) চিনি। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আমি এসেছিলাম। তার হাত ধরে যখন আমি এই অঙ্গনে এলাম, তখন থেকে বুঝেছি যে মাকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়। উনার কাছে শিখেছি। মানুষদের কীভাবে ভালোবাসতে হয়, ফ্যানস ফলোয়ারদের কীভাবে ভালোবাসতে হয় এটা আমি তার কাছ থেকেই শিখেছি।’
এভাবেই সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরণ করে কথাগুলো বলছিলেন এই সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এসআই টুটুল।
রবিবার সন্ধ্যায় সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী ও এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চুর নিজস্ব স্টুডিও মগবাজারস্থ এবি কিচেনে বাদ মাগরিব আয়োজন করা হয় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের। এবি কিচেন সংলগ্ন মসজিদে এই আয়োজন করেন এলআরবির সদস্যরা ও আইয়ুব বাচ্চুর পরিবার। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘এলআরবি’র প্রাক্তন সদস্য এসআই টুটুল।
তিনি ছাড়াও দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ, কণ্ঠশিল্পী এস আই টুটুল, আসিফ আকবর, মেহরীন, হাসান আবিদুর রহমান জুয়েলসহ আইয়ুব বাচ্চুর বন্ধু, সহকর্মীরা। দোয়া মাহফিলে আরও ছিলেন এলআরবির বাকি সদস্যরা। ছিলেন আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে তাজওয়ার, মেয়ে সাফরাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। দোয়া মাহফিলের পর উপস্থিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকাররা কথা বলেন গণমাধ্যমের সাথে।
আইয়ুব বাচ্চু যখন মারা যান তখন এসআই টুটুল ছিলেন সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে থেকেই মোবাইল ফোনের লাইভে জানাজায় অসংখ্য মানুষকে শরিক হতে দেখেছেন। রবিবার দেশে ফিরেই তাই সবার আগে আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের কাছে ছুটে গিয়েছেন এসআই টুটুল।
মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আইয়ুব বাচ্চুর জন্যই আজকে তিনি প্রতিষ্ঠিত এমনটা জানিয়ে প্রখ্যাত এই শিল্পী বলেন, সংগীত যে অনেক বড় জায়গা সেটা তার কাছে এসে তার সান্নিধ্য পেয়েই দেখা হয়েছে। আর সেজন্যই আজকে আমি এখানে। আমি আজকে যতটুকুই হতে পেরেছি সেটা উনার জন্য। আমি আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্টি।
মানুষের বায়োলোজিক্যাল ফাদার একজনই থাকে, কিন্তু শিক্ষার জন্য অনেক গুলো ফাদার থাকেন। শিক্ষায় তিনি ছিলেন আমার প্রথম ফাদার। যার কাছ থেকে আমি সংগীতের পাশাপাশি জীবনের পাঠ নিয়েছি। বলছিলেন এসআই টুটুল।