মাছের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা দ্রব্যে শুকরের উপজাত (বাই প্রডাক্ট) আছে কিনা, তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ‘তত্ত্বাবধানে’ থাকা কয়েকটি (রিটকারি) কোম্পানির আমদানিকৃত দ্রব্যে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে সে ফলাফল চট্টগ্রাম কাস্টমসে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এই নির্দেশ দেন।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এসময় তার সাথে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। আর অপর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ।
এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কিছু কোম্পানির (প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন) মাছের খাদ্য হিসেবে আমদানিকৃত চালানের উপাদান পরীক্ষা করে ফলাফল কোম্পানিগুলোকে দিতে চিঠি দেয়। এরপর ওই চিঠির বৈধতা চালেঞ্জ করে ও পণ্য খালাস পেতে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ একটি কম্পানির পণ্য খালাসের আদেশ দেন।
এছাড়া হাইকোর্টের আরেকটি অবকাশকালীন বেঞ্চেও এ বিষয়ের শুনানি হয়।
এদিকে একটি চালানের কিছু উপাদান এরই মধ্যে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। টেস্টের ফলাফলে আমদানিকৃত দ্রব্যে শুকরের উপজাত আছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই ফলাফলের বিষয়সহ চট্টগ্রাম কাস্টমসের তত্ত্বাবধানে থাকা (এ বিষয়ে রিটকারি) সবগুলো কোম্পানির আমদানিকৃত দ্রব্যের চালানের স্যাম্পল ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন আ্যাটর্নি জেনারেল। এরপর আপিল বিভাগ আদেশ দেন।
আজকের আদেশের পর আ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন: ‘আমাদের দেশে শুকরের কোনো উপাদান আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’
তাই রিটকারি কম্পানিগুলোর আমদানি করা চালানগুলোতে বোভাইন (চতুষ্পদ পশুর উচ্ছিষ্ট) ও পশ্চাইন (শুকরের থেকে উচ্ছিষ্ট) উপাদান আছে কিনা তা সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। যদিও এর আগে আমদানিকৃত দ্রব্যের চালানের একটি স্যাম্পল টেস্টের ফলাফলে শুকরের উপজাত পাওয়া গেছে। সর্বোচ্চ আদালত এবার সবগুলো চালানের উপাদান পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।