চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আবার কি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে জঙ্গিবাদ?

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেনেড ও ককটেলসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিনই কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাস থেকে নেমে পালানোর সময় পুলিশের ওপরে ককটেল নিক্ষেপ করে দু’ জেএমবি সদস্য। ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের পরে তাদের আটক করা হয়। ঘটনা দুটিতে পুলিশ বাহিনীর সদস্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ঘটনা দুটিকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে জঙ্গিবাদ নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার মতো নারকীয় ঘটনার পর জঙ্গি কার্যক্রম নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ তৎপর ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সময় যতই যাচ্ছে রাজধানীর বিশেষ বিশেষ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা শিথিল হতে শুরু করেছে। হয়তো সেই সুযোগে জঙ্গিরা আবার কোন নাশকতার পরিকল্পনা করছে, যার ফলশ্রুতিতে মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নিতে প্রিজন ভ্যানে হামলা ও কুমিল্লার ঘটনার মতো ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ ঘটতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ বিষয়ে নানা তথ্য ও নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আবারও যেন দেশে জঙ্গিদের কারণে কোন বড় ঘটনার জন্ম দিতে না পারে, সেজন্য সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এখন থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত বলে আমরা মনে করি। সেসঙ্গে জঙ্গিবাদের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে এর মদদদাতাদের চিহ্নিত করার কাজও জোরদার করা উচিত।