উপন্যাস লিখে ম্যানবুকার পুরষ্কার জেতা ভারতীয় লেখক অরন্ধতী রায় আবারও এই পুরষ্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। এবারও উপন্যাস লিখে ম্যানবুকার পুরষ্কার-২০১৭’র ১৩ জনের তালিকায় রয়েছেন ২০ বছর আগে ম্যানবুকার জেতা অরুন্ধতী রায়।
পুরষ্কারের জন্য বিচারকগণ ১৫০ জনের দীর্ঘ তালিকা তৈরি করেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারকগণ ১৩ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা ছয় জনে নামিয়ে আনবেন। আর বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ১৭ অক্টোবর।
যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক এই পুরষ্কারের জন্য লড়াই করা সংক্ষিপ্ত ১৩ জনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের চারজন, যুক্তরাষ্ট্রের চারজন, দুইজন আইরিশ, দুইজন যুক্তরাজ্য-পাকিস্তানি এবং একজন ভারতীয় রয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং ছয়জন নারী রয়েছেন।
১৯৯৭ সালে ‘দি গড অফ স্মল থিংস’ লিখে ম্যানবুকার পুরষ্কার যেতেন অরুন্ধতী রায়। আর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দি মিনিস্ট্রি অফ আটমোস্ট হ্যাপিনেস লিখে মনোনীত হয়েছেন এবারের পুরষ্কারের জন্য।
দ্বিতীয় উপন্যাস লিখতে ২০ বছর সময় নিয়েছেন অরুদ্ধতী রায়। এতো দীর্ঘ সময় কেন সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, ফিকশন নিজের গতিতেই চলে। আমি চাইলেই এটা দ্রুত বা দীর্ঘ সময় নিয়ে লিখতে পারবো না। এটা অনেকটা পাললিক শিলার মতো, যা নিজেই তার সব স্তর গঠন করে এবং সাঁতরে বেড়ায়।
ম্যানবুকার পুরষ্কার-২০১৭ সালের ১৩ জনের তালিকা: পল অসটার’র ‘৪৩২১’, সেবাস্তিয়ান ব্যারি’র ‘ডেজ উইদাউট এন্ড’, এমিলি ফ্রিডলান্ড’র ‘হিসটোরি অফ উলভস’, মাইক ম্যাককোরমাক’র ‘সোলার বোনস’, জন ম্যাকগ্রেগর’র ‘রেজারভোইর ১৩’, অরুন্ধতী রায়ের ‘দি মিনিস্ট্রি অফ আটমোস্ট হ্যাপিনেস’, মোহসিন হামিদের ‘এক্সিট ওয়েস্ট’, জর্জ সানডার্স’র ‘লিংকলন ইন দি বার্ডো’, কামিলা শামসিয়ে’র ‘হোম ফায়ার’, আলী স্মিথি’র ‘অটাম’, জাদিয়ে স্মিথ’র ‘সুইং টাইম’, কলসন হোয়াইটহেড’র ‘দি আন্ডারগ্রাউন্ড রেইলরোড’, ফিয়োনা মজলি’র ‘এলমেট’।