চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বার্ষিক নীতিমালা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা তার আগের বছরের চেয়ে ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এ নীতিমালা ঘোষণা করেন ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। এ সময় বাংলাদেশে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত নীতিমালায় বলা হয়, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা তার আগের বছরের চেয়ে ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। ওই অথবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।
এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ২০ কোটি এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ৭২০ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করবে বলে জানানো হয়।
গত অর্থবছরে মোট ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩৫ জনের মাঝে ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।
এ সময় ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিঋণের কর্মসূচি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের বৈষম্য দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, বর্তমানে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ হারে ঋণ পাবেন কৃষকরা। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ব্যাংকের নিট ঋণ ও অগ্রিমের ন্যূনতম দুই শতাংশ কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের বিধান রাখা হয়েছে আগের ন্যায়। তবে কোন ব্যাংক যাতে লক্ষ্যমাত্রা কমাতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তদারকি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আগের বছরের মতই শস্য ও ফসল চাষের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ছাড়াই একজন কৃষক সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। তবে নেটওয়ার্ক অপতুলতার কারণে বিদেশী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর হবে না।
দেশে প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি বিদেশি ফল ও ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য নতুন কৃষি ঋণ নীতিমালায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওইসব বিদেশি সব্জি, ফল ও ফসলে মধ্যে কোন কোনটায় ঋণ দেওয়া যাবে তাও বলা হয়েছে।