আগের ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসকে হারিয়ে শেষ চারের ক্ষীণ স্বপ্নটুকু বাঁচিয়ে রেখেছিল ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্স। ঢাকা থেকে সিলেটে এসে রাজশাহী শোধ তুলল রংপুরকে হারিয়ে। ৩০ রানে জিতে চট্টগ্রামের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেরা চারে উঠে গেছে রয়্যালসরা।
বৃহস্পতিবার সিলেটপর্বের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে রাজশাহী। দ্রুত টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কাঁপতে থাকা রংপুর ফজলে মাহমুদ রাব্বীর ব্যাটে স্বপ্ন দেখলেও শেষপর্যন্ত থেমেছে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান করে।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল রাজশাহীর। সমান ম্যাচে একই পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম রানরেটে নেমে গেছে দুইয়ে। অন্যদিকে ৯ ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্টে টেবিলের তলানি থেকে দুইয়ে রংপুর। নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ জিতলেও শেষ চারের আশা ধরাছোঁয়ার বাইরেই তাদের জন্য। কেননা অন্যদের ম্যাচ সংখ্যা, জয়-পরাজয়ের হিসাব আর রানরেট বলছে, টুর্নামেন্ট শেষই বলা চলে রংপুরের।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রাজশাহীর ভালো করার পেছনের অন্যতম প্রধান কারণ লিটন দাস ও আফিফ হোসেনের উদ্বোধনী জুটি। প্রতি ম্যাচেই দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন দুজনে অথবা একজনে। সিলেটপর্বের প্রথম ম্যাচেও ৫১ রান এসেছে লিটন-আফিফ জুটির থেকে।
১৯ রান করা লিটনকে ফিরিয়ে পঞ্চম ওভারে জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে ফিরে যান আফিফও। পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারানোর ধাক্কা সামলে নেন শোয়েব মালিক ও ইরফান শুক্কুর।
২০ রানে ইরফান ও ৩৭ করা শোয়েব মালিকের উইকেট পড়ার পর আর কোনো উইকেট হারায়নি রাজশাহী। রবি বোপারার ঝড়ে শেষ ২০ বলে ৪৭ রান তোলে দলটি।
২৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন বোপারা। ৯ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নেওয়াজ।
বড় লক্ষ্যে যথারীতি অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে হারিয়ে শুরু রংপুরের। চার ম্যাচে মোট ১৫ রান করলেন অজি অলরাউন্ডার। এরপর একে একে ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও নাঈম শেখকে হারিয়ে কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়ে রেঞ্জার্সরা।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে টম অ্যাবেলের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ফজলে মাহমুদ রাব্বী। ২৯ রান করে অ্যাবেল ও ৩৪ করা রাব্বী ফিরতেই সব আশা শেষ রংপুরের। কোনরকমে ধুঁকতে ধুঁকতে ৩০ রান দূরে থাকতে থেমেছে তাদের ইনিংস।