বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য পরিচিত ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দুতার্তে আবারও গালির তুবড়ি ছুটিয়েছেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানকে। ‘নিবোর্ধ’, ‘…..বাচ্চা’র মতো অশ্লীল প্রতিক্রিয়া হত্যাকাণ্ডের জন্য দুতার্তের বিরুদ্ধে তদন্তের পরামর্শ দেয়ার একদিন পরই।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রাদ আল-হুসেইনের প্রতি দুতার্তের বিষোদাগার, “জাতিসংঘে থাকা তুমি, তুমি কূটনীতি বোঝো না। জাতিসংঘের একজন কর্মচারী হিসেবে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তুমি জানো না। ….বাচ্চা.. তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলতে পারো না।”
ডাভাও শহরের মেয়র থাকাকালীন দুতার্তে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের নিজ হাতে গুলি করে মেরেছেন –এমন কথা গর্বের সাথে বলার প্রেক্ষিতে তদন্তের আহ্বান জানান জেইদ। ফিলিপাইনের প্রশাসনের প্রতি মঙ্গলবার এমন আহ্বান জানানোর একদিন পর বৃহস্পতিবার রাজধানি ম্যানিলায় এক সংবাদ সম্মেলনে দুতার্তের এমন আক্রমণ।
“নির্বোধ, আমাকে কি করতে হবে তুমি বলতে এসো না। আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে তোমার ধারণা কম। জাতিসংঘে আমাদেরও (আর্থিক) অবদান আছে। …….ছেলে! আমি তোমার বেতন দেই। সেখানে তোমার মুখ খুলো না। আমি তোমাকে নিযুক্ত করেছি।”
১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘে ১৪১ টি দেশের মধ্যে ফিলিপাইন একটি যে ২০১৬ সালের বকেয়া সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কর বিষয়ক কমিটি তথ্যানুযায়ী ফিলিপাইন ৪.১১ মিলিয়ন ইউএস ডলার পরিশোধ করেছে।
শুধু জেইদ নন, জাতিসংঘের সদরদপ্তরও পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি রোববার। মাদক পাচার ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে তার রক্তাক্ত অভিযান বিষয়ে জাতিসংঘের নিন্দার প্রেক্ষিতে তার এমন প্রতিক্রিয়া।
রোদ্রিগো দুতার্তে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন গত জুন মাসে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি। এরপর থেকে পুলিশের হাতে মারা গেছেন ২ হাজার জন। এবং সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের হত্যাকাণ্ড এখনও রহস্য।
দুতার্তে এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তার অশালীন আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীন, ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ আরও অনেক ব্যক্তি, দেশ, সংস্থা।