চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আবারও ঊর্ধ্বমুখী ডলার!

বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমিয়েছে। আজ সোমবার প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোকে ৮৮ টাকায় আমদানি বিল আদায়ের সুযোগ দিয়েছে। ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোয় রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে আমদানিকারকদের খরচ বাড়বে। এর আগে গত সোমবার ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে অবশ্য জানা যায়, আজও অনেক ব্যাংক ১০০ টাকা দরে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করছে ও রপ্তানি বিল নগদায়ন করছে। এতে আমদানিকারকদের বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। ব্যাংকাররা বলছেন: ঈদের কারণে দেশে ভালো প্রবাসী আয় এসেছে। তবে আমদানি খরচ যে হারে বেড়েছে, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় দিয়ে সেই খরচ মেটানো যাচ্ছে না। এ কারণে ডলার নিয়ে দেশের মুদ্রাবাজারে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে।

শিগগিরই এ সংকট কমার কোনো লক্ষণ নেই। এ সংকটের প্রভাব পড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। পাশাপাশি ব্যাংক ব্যবস্থায় নগদ টাকারও সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে চলতি হিসাবে লেনদেন ভারসাম্যেও ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।

এখন যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আবার আমদানি খরচ এভাবে বাড়তে থাকলে রিজার্ভ আরও কমে যাবে। আবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপ রয়েছে রিজার্ভের হিসাব সঠিক নিয়মে করার। সেটি করতে গেলে রিজার্ভের অর্থে গঠিত রপ্তানিকারকদের ঋণ তহবিল, সরকারি প্রকল্প ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণ এবং সোনালী ব্যাংকে রাখা আমানত রিজার্ভের হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে। এতে রিজার্ভ কমবে ৭০০ কোটি ডলারের বেশি। এখন রিজার্ভ রয়েছে ৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।

আমরা মনে করি, ডলারের বিনিময়মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক অবস্থানে থাকা দরকার। শেয়ারবাজারের মতো ডলার নিয়ে কোনো গোষ্ঠী যেন সুযোগ নিতে না পারে সেই ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে। এজন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।