স্পিন আক্রমণে এমনিতেই আফগানিস্তানের জুড়ি নেই। চট্টগ্রামে স্পিন সহায়ক উইকেট পেয়ে আরও ভয়াল হয়ে উঠেছেন জহির খান, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা। তাতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ২২ গজে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ৮২ রান তুলতেই স্বাগতিক দল হারিয়েছে ৪ উইকেট।
ব্যাটিংঅর্ডারে অদলবদল করেও সুফল মেলেনি। একে একে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাস (৯), তিনে প্রমোশন পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১২), মুশফিকুর রহিম (২৩) ও মুমিনুল হক (৩)।
৩৯৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে দরকার ছিল দুর্দান্ত শুরু। ভালো কিছুর আশা জাগিয়ে চায়নাম্যান জহিরের বলে লিটন যখন এলবিডব্লিউ হন, দলের রান তখন ৩০। তিনে নামানো হয় লোয়ার মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেককে। এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানও টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১২ রান করে বাঁহাতি স্পিনার জহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন বাজে শটের মাশুল গুণে।
মুশফিকুর রহিম কাউন্টার অ্যাটাকে যান ক্রিজে নেমেই। দ্বিতীয় বলেই সুইপ শটে মারেন বাউন্ডারি। পরে আরও তিন বাউন্ডারি মেরে নামের পাশে ২৩ রান যোগ করে রশিদের বলে হন এলবিডব্লিউ। আফগান অধিনায়ক পরের ওভারেই মুমিনুলকে এলবিডব্লিউ করে বিপর্যয়ে ফেলেন বাংলাদেশকে।
প্রথম ইনিংসে ২০৫-এ গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড নেয়ার পর সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২৬০।