চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আফগান-পাকিস্তানকে নিয়ে চীনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

চীন প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় তরুণ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। গত সপ্তাহে চীনের শানডং প্রদেশের জিনান শহরে এ টুর্নামেন্ট হয়, যেটার পৃষ্ঠপোষকতা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিন দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ক্রিকেটকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেপ্টেম্বর মাসে ইসলামাবাদে চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যে তৃতীয় সম্মেলন হয়েছে, সেখানে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় এবং সিদ্ধান্তের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টুর্নামেন্টটি হয়ে গেল।

চীন সরকার এবারই প্রথমবারের মতো সরাসরি কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করল, যেখানে বিদেশী দল অংশ নিয়েছে।

১৯ অক্টোবর আয়োজিত দিনব্যাপী ওই টুর্নামেন্টে তিন দেশের ৪০ জনের মতো খেলোয়াড় একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।

‘বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে’ ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং টুর্নামেন্ট শেষে কোনো পক্ষকে কোনো পয়েন্ট বা র‍্যাঙ্ক দেয়া হয়নি।

শেষের ম্যাচে চীনা খেলোয়াড়রা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের সাথে মিলে দুটো দল ভাগ করে একে অন্যের বিরুদ্ধে খেলেছে।

চীনের সহ-আয়োজক জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশান অব স্পোর্টস পাকিস্তান ও আফগান খেলোয়াড়দের সংবেদনশীলতার ব্যাপারে সচেতন ছিল এবং সে কারণে শুধুমাত্র পুরুষ আম্পায়ারদেরকে খেলাতে ব্যবহার করা হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছে, গত মাসে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিন্দুস্তান টাইমসকে এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশান অব স্পোর্টস যৌথভাবে এটার আয়োজন করেছে। এটা জনগণের পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটা চেষ্টা যেখানে ক্রিকেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।’

চীনে ক্রিকেট অতটা জনপ্রিয় নয় কিন্তু চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, হাজার হাজার স্থানীয় সমর্থকরা তাদের টিমকে সমর্থন করেছে এবং তাদের উৎসাহ দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘হাজার হাজার স্থানীয় তরুণ ক্রিকেট ফ্যান খেলা দেখতে উপস্থিত হয়েছিল এবং খেলোয়াড়দের সাথে তাদের উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় হয়েছে।’

স্থানীয় এক সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তরুণ খেলোয়াড়রা ক্রিকেট খেলার ভদ্রতাসুলভ আচরণ দেখিয়েছেন খেলার ভেতরে ও বাইরে।

চীনা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ ভিত্তিতেই এই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, এর মাধ্যমে ক্রিকেট কূটনীতিকে ব্যবহার করা হয়েছে, তিন দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্রিকেট সহযোগিতার বিষয়ে একটা মডেল তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে যাতে তিনদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হয়।’